ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য এবারের বাজেটেও কোনও বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় সরকারকে। যদিও, এই প্রকল্পে পুরো অর্থই রাজ্য বরাদ্দ করবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। সেই প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে? নিজেই জানালেন ঘাটালের সাংসদ দেব।নির্বাচনে জেতার পর ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) আজ, সোমবার প্রথমে দাসপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এদিন তাঁর দাসপুর এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছিল। সেখান থেকে তিনি যান বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালনের অনুষ্ঠানে। পরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন ঘাটালের মহকুমা শাসকের কার্যালয়।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, ‘ঘাটালের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। জমি পরিমাপের কাজ শেষ। এরপর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।’ দ্রুত গতিতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলবে বলেই জানিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই নিশ্চয়তা পেয়েই এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দেব। উল্লেখ্য, শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে ফি বছরই। দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাতেই এর প্রভাব পড়ে। ১৯৮৩ সালে শিলান্যাস হওয়া প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হয় ২০১১ সালে। সেই প্রকল্পের কাজ আজও আটকে রয়েছে।

এদিন দেব পাঁশকুড়ার বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে ভোট পরবর্তী আলোচনায় যোগ দেন। ঘাটাল লোকসভায় জেতার পর আজ পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতৃত্বে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। পাঁশকুড়া উন্নয়নের জন্য কী করণীয় সে ব্যাপারে দেবকে জানানো হয় ব্লক নেতৃত্বের তরফে।

Trinamool Congress : নেত্রীর নির্দেশ পালন, গাড়ি নয় সাইকেলে চেপে জনসংযোগে তৃণমূল নেতৃত্ব
পাশাপাশি, এদিন সাংসদ দেব নেতৃত্বদের উদ্দেশে জানান, এলাকার উন্নয়নের যেমন প্রয়োজন, তেমনি দলীয় নেতৃত্বদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে থাকতে হবে। উন্নয়নের কাজ একসঙ্গে করতে হবে। ঘাটাল লোকসভা তৃণমূল জিতলেও পাঁশকুড়া বিধানসভায় ১৭৬ ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। এদিনের বৈঠকে নেতৃত্বদের সতর্ক করেন দেব। দলীয় বিরোধ ভুলে নেতৃত্বকী একসঙ্গে চলার ডাক ডাক দেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version