বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকে বিজেপি পরিচালিত লোকপুর পঞ্চায়েতে পালাবদল হল। রবিবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান রূপা গোপ এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য মৌসুমী ধীবর যোগদান করেন তৃণমূলে। খয়রাশোলে রাজ্যের শাসক দলের কার্যালয়ে তাঁরা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।উল্লেখ্য, খয়রাশোল ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র লোকপুর পঞ্চায়েতটি গিয়েছিল বিজেপির দখলে। খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৪টি। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন, তৃণমূল ৪টি এবং নির্দল পায় ২টি আসন। যদিও দুই নির্দল সদস্য টুকুরানি মণ্ডল এবং টুম্পা চৌধুরী আগেই যোগদান করেছেন তৃণমূলে।

জানা গিয়েছিল, তাঁরা শাসক দল থেকে টিকিট না পেয়ে ‘অভিমান’-এর জেরেই নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট মেটার পর সব ভুলে তাঁরা ‘ঘরে ফেরেন’। ফলে তৃণমূল এবং বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ছয় এবং আট। এদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে লোকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপা গোপ। এবার তিনিই যোগদান করলেন তৃণমূলে। ফলে এবার সেই সংখ্যাটাই তৃণমূলের ক্ষেত্রে হল আট এবং বিজেপির ছয়।

স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য শাসক দলের ক্ষেত্রে তা খুশির খবর। তৃণমূলে যোগদানের পর রূপা বলেন, ‘বিজেপিতে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই উন্নয়নের কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’ এদিন তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সম্পাদক দেবব্রত সাহা। এছাড়াও এদিনের যোগদান সভাতে উপস্থিত ছিলেন খয়রাশোল ব্লকের কোর কমিটির আহ্বায়ক শ্যামল গায়েন সহ মৃণালকান্তি ঘোষ, কাঞ্চন দে।

উল্লেখ্য, ১৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকপুরে পিছিয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু, খেলা ঘোরে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। লোকপুর পঞ্চায়েতে প্রায় ৬৫০ ভোটের লিড পেয়েছিল তৃণমূল। এরপর থেকেই সেখানে পঞ্চায়েতে পালাবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এবার সেই জল্পনা সত্যি হল, যা স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের কাছে বড় জয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version