এই সময়: বড়সড় রদবদল হলো রাজ্য প্রশাসনে। শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো মণীশ জৈনকে। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর বদলি নিয়ে নবান্নের অলিন্দে জল্পনা চলছিল। বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মণীশকে শিক্ষা দপ্তর থেকে সরিয়ে পাঠানো হলো উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে। নতুন শিক্ষাসচিব হলেন বিনোদ কুমার। তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব ছিলেন। এ দিন মোট ৯ আমলার দপ্তর বদল হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্বও পেয়েছেন কেউ কেউ।উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় থেকেই মণীশ শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি সব ফাইলে সই করার সময়ে মণীশ লিখে দিচ্ছিলেন, উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করছেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর নিজের কোনও দায় নেই।

সম্প্রতি একটি বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘তুমি দু’দিকে পা দিয়ে চলছ।’ শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে বিনোদ কুমারকে মণীশের মতোই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব এবং ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারের সম্পাদকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। বিনোদ কুমারের ছেড়ে আসা পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের নতুন সচিব করা হয়েছে গুলাম আলি আনসারিকে।

বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে দায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে পিবি সেলিমের। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সমন্বয় সচিব। তা ছাড়া রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদেরও অধিকর্তা। তাঁকে এ বার সামলাতে হবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের কাজও। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা জিটিএ-র সচিবও বদল করা হয়েছে। নতুন জিটিএ সচিব হয়েছেন বিজয় ভারতী।

সেই পদে থাকা সৌম্য পুরকাইতকে রাজ্য গেজেটিয়ার্সের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব অমিত রায়চৌধুরীকে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিবের দায়িত্বে আনা হয়েছে জয়শী দাশগুপ্তকে। উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব (সিনিয়র)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলাদিত্য বসু রায়কে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version