বেলঘরিয়া রেল ব্রিজ দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর কিছু অংশে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই এই ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের সব ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উত্তর শহরতলি এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হল এই বেলঘরিয়া ব্রিজ। ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় রেলের তরফে। সেখানে রেললাইনের উপরের অংশটিতে কিছু ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে।

এরপরেই বেলঘরিয়া ব্রিজে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করল প্রশাসন। ব্রিজে ওঠানামা এবং আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে সে কথা ব্যানার লাগিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ওই ব্রিজের উপর দিয়ে আর লরি চলাচল করতে দেওয়া হবে না। ভারী যানবাহন ওঠা বন্ধ করতে ব্রিজের দুই মুখে ৩.১ মিটারের হাইটবার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, এই ব্রিজ মোট ৪০০ মিটার লম্বা। এই উড়ালপুলের রেলের অংশে ১৪ ও ২৮ মিটারের দুটি স্প্যান আছে। সেটা মেরামতের কাজ করবে রেল। বাকি অ্যাপ্রোচ রোডের দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের। সেখানেও মেরামতি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ব্রিজের পুরোপুরি মেরামতির কাজ হবে পুজোর পরে। তবে, এখন থেকেই বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনার কারণে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল।

Bagjola Canal Road: আতঙ্কের আরেক নাম বাগজোলা ক্যানাল রোড
পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ব্রিজে দিয়ে মুড়াগাছা মোড়, বিরাটি, বি টি রোডের মুখে যশোর রোড, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ব্রিজ পুরোপুরি মেরামত করা হলে তবেই ভারী গাড়ি পুনরায় চলাচল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করলে ব্রিজটিকে কাঁপতে দেখা যায়। ব্রিজের নীচে অনেক দোকানপাট রয়েছে। সেই কারণে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version