এই সময়: প্রতি বছর সরকারি বাসের সংখ্যা কমলেও জ্বালানির খরচ বাড়ছে কেন, মঙ্গলবার নবান্নে পরিবহণ দপ্তরের পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চালাচল করা টোটোগুলিকে বৈধতা দেওয়া ছাড়াও টোটো সংক্রান্ত পলিসি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।নবান্ন সূত্রের খবর, এদিনের রিভিউ মিটিংয়ে তিনি কিছুটা ক্ষোভের সুরেই জানতে চান, ‘যদি সরকারি বাস কমই চলে তাহলে তেলের জন্য এত খরচ হচ্ছে কেন?’ বৈঠকে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, আইনি জটে প্রায় ১২০০ নতুন বাস পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন বাস না আসায় পুরোনো বাস দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। তাতে তেলের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘বাস কম থাকলে ফ্রিকোয়েন্সি তো বাড়ানো যেতে পারে। একটা শিফট বাড়িয়ে দিলেও তো কিছুটা সুরাহা পায় সাধারণ মানুষ। দরকার হলে অফিস টাইমে বাসের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে দিন।’ পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, বাস চালিয়ে সরকারের যে আয় হয় তার বেশিরভাগটা চলে যায় কর্মীদের বেতন দিতে।

এছাড়াও তেল কিনতে বিপুল টাকা খরচ হয়। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এই খরচ আরও বেড়ে গিয়েছে। দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য শোনার পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম মিলিয়ে একটি সংস্থা করা যায় কি না তা নিয়ে পরিকল্পনা করুন।’

Kolkata Bus Service: ১৫ বছরের পুরোনো বাসের বিদায় যাত্রা শুরু আজ থেকে

এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা, পরিবহণ দপ্তরের সচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ট্রাম লাইন তুলে দেওয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, টোটো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলায় টোটোগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে।

একে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ফলে টোটো নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট টোটা নীতি তৈরি করতে হবে। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় হাজার বাস চলাচল করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। নতুন বাস না নামালে যে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের পক্ষে সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে সে কথা উপলব্ধি করেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন শিফট বাড়ানোর কথাও জানান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version