‘আইন সভায় আইন আনা প্রয়োজন। এই ধর্ষকদের এনকাউন্টার বা মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া উচিত’, আরজি করকাণ্ড নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষকদের যাতে সাত-দশ দিন বা এক মাসের মধ্যে শাস্তি হয় সেই জন্য কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্স কিংবা বিল আনা উচিত বলে দাবি করেন তিনি। অভিষেকের সংযোজন, ‘তৃণমূল, কংগ্রেস বা অন্যান্য দলের উচিত, সেই বিল বা অর্ডিন্যান্সকে সমর্থন করা।’

এই সমস্ত ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই দোষীর ফাঁসির দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ার।

শনিবার সন্ধ্যায় আরজি কর নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনা মর্মান্তিক। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের দেশের আইন এমন যে চাইলেও অনেকে সময় অনেক কিছু করতে পারা যায় না। এই সমস্ত ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু দেশের আইন এমন আপনি কিছু করতে পারবেন না। ট্রায়াল হবে, দোষী সাব্যস্ত হবে, তারপর হয় তার ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হবে বা অন্য কোনও শাস্তি হবে। যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে পুলিশ হোক বা ইঞ্জিনিয়ার, রাঁধুনি, খেলোয়াড়-কিছু যায় আসে না। ধর্ষকের কোনও জাত হয় না। দ্রুত ট্রায়াল করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

আরজি করের ঘটনায় রাজনীতির ছোঁয়া লাগা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা দলকে দেখলাম ফ্ল্যাগ নিয়ে বসে পড়েছে। আমরা যদি চাই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক তাহলে আইন সভায় অধ্যাদেশ আনুন বা বিল পেশ করা হোক। বিজেপি সরকার যদি অধ্যাদেশ এনে ইডি ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াতে পারে তাহলে ধর্ষকের এক মাসের মধ্যে শাস্তি হবে এই অর্ডিন্যান্স কেন আনছে না?’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনও বিচারককে নয়, বিচার ব্যবস্থাকে আমি দোষ দিচ্ছি। প্রতি ঘটনায় কোনও না কোনও ভাবে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। পুলিশকে ধন্যবাদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।’ ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে যাতে এক মাসের মধ্যে বিচার হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version