‘নির্দোষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে’, এমনই দাবি শোনা গেল আরজি করের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের মায়ের কণ্ঠে। যদিও তার দিদির দাবি একেবারেই আলাদা। দাদা চারটি বিয়ে করেছিল বলে শুনেছেন, জানান তিনি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। ঘটনায় গ্রেপ্তার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। গ্রেপ্তারের পরেও তার ভাবলেশহীন অভিব্যক্তি চিন্তায় ফেলছে দুঁদে পুলিশ অফিসারদের, সূত্রের খবর এমনটাই।দক্ষিণ কলকাতার একটি গলিতে বাড়ি যুবকের। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ মা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ছোটবেলা থেকে বক্সিং শিখত অভিযুক্ত। চারটি বিয়েও করে সে, দাবি প্রতিবেশীদের। কিন্তু, কোনও বিয়েই তিন থেকে ছয় মাসের বেশি টেকেনি। যদিও ছেলে একাজ করেছে তা মানতে নারাজ অভিযুক্তর মা। তিনি বলেন, ‘নির্দোষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। যে অত্যাচার করল তার কিছু হল না। হয়তো ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ এক ক্যান্সার আক্রান্তকে রোগের কথা না জেনেই বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত, দাবি মায়ের। তাঁর দাবি, ‘ওই মহিলাই ছেলের জীবন নষ্ট করল।’

যদিও অভিযুক্তের বড় দিদির কণ্ঠে অন্য সুর। তিনি বলেন, ‘বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলাম। ও বাড়ির কারও সঙ্গেই সম্পর্ক নেই। এর জন্য বাপের বাড়ি কোনদিনও যাওয়া হয়নি। এই এক, দুই বছর হল রাস্তায় দেখা হলে কথা একটু বলতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মায়ের মাথায় একটু সমস্যা হয়েছে। মাঝেমধ্যে ভুলভাল কথা বলেন। আমি একদিন জানতাম ভাই দুটো বিয়ে করেছে। হঠাৎ শুনলাম চারটে বিয়ে হয়েছে। এক দুই বার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানালায় একটা মেয়েকে দেখেছি। প্রতিবেশীরা বলেছে ওটাই নাকি ভাইয়ের বউ।’

ভাইয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে তিনি আগ্রহী নন। পুলিশে কাজ করলেও কোন বিভাগে সে কর্মরত ছিল, তা জানা নেই বলেই দাবি করেন অভিযুক্তের দিদি। অন্যদিকে, প্রতিবেশীদের দাবি, অভিযুক্ত অত্যাধিক মদ্যপান করত। প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল না। তবে আরজি করের ঘটনার সঙ্গে তার নাম জোড়ায় অবাক এলাকাবাসী। এই ধরনের নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version