গঙ্গায় ভাসানোর জন্য নিজের মায়ের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। নারকীয় ঘটনা বর্ধমান জেলায়। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাথা কেটে নেওয়ার সময়ে ওই মহিলা বেঁচে ছিলেন বলেও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান জেলার ভাতার থানার করুম্ব গ্রামে। ধৃত ব্যক্তির নাম মুথরা হাঁসদা ওরফে শিবেন। নিজের মায়ের মাথা কেটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায়। অভিযুক্ত ছেলেকে সোমবারই গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা হরিদাসী হাঁসদা(৬৪) তাঁর ছেলেকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর মাথাটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে। সেই কথা মাথায় ছিল ছেলের। এরপর শয্যাশায়ী মায়ের মৃত্যু হয়েছে এই ভেবে মায়ের মাথা গঙ্গায় অর্পণ করতে ছেলে মায়ের মাথা কেটে ফেলে বলে অভিযোগ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে ধৃত ছেলে মুথরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য শয্যাশায়ী ছিলেন হরিদাসী হাঁসদা। সোমবার বিকালে শয্যাশায়ী মা মারা গিয়েছে মনে করে বঁটি দিয়ে মুথরা তাঁর মাথা দেহ থেকে আলাদা করে দেয়।

বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি কাটা মুণ্ডু গঙ্গায় ভাসাতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তবে গঙ্গায় পৌঁছনোর আগেই ধরা পড়ে যান। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ও মুথরাকে গ্রেপ্তার করে। মৃত মহিলার আরেক ছেলে বলেন, ‘বাড়িতে তখন কেউ ছিল না। ও মায়ের গলা কেটে দেয়। বাবা বাড়ি ফিরে এই অবস্থা দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি গিয়ে দেখি, ও মায়ের ধরে থেকে মাথা আলাদা করে দিয়েছে।’ ধৃত যুবকের মানসিক সমস্যা ছিল বলেও জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

Bardhaman : কাটোয়া হাসপাতালে যুবতীকে দেখে ‘অশ্লীল’ কাজ, বর্ধমানে গ্রেপ্তার যুবক
ঘটনাটি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version