এই সময়, ঝাড়গ্রাম: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা। তার মধ্যে বিরল গ্রুপের রক্ত দিয়ে ভিন রাজ্যের মহিলার প্রাণ বাঁচালেন হাসপাতালের এক নার্স। হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা বলেন, ‘রোগিণীকে বাঁচানোর জন্য আমাদের নার্স মৌসুমী ওঝা নিজে এগিয়ে এসে যে কর্তব্য পালন করেছেন তা সত্যিই মহৎ কাজ।’রবিবার ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব সিংভূম জেলার গালুডির বাসিন্দা রেখা মাহাতোকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে আসেন তাঁর পরিবার। চিকিৎসকরা তাঁকে অ্যান্টিনেটাল ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বছর আটত্রিশের রেখার যোনিপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে ২.৯ হয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে রোগিণীর প্রাণ বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসক। কিন্তু রেখার ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত ঝাড়গ্রাম জেলার তিনটি ব্লাড ব্যাঙ্কে পাওয়া যায়নি। চিন্তায় পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রোগিণীর পরিজন। ঝাড়গ্রাম জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার ফোরামের সম্পাদক চন্দন শতপথী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের নার্স মৌসুমী ওঝার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ নেগেটিভ।

RG Kar Medical College: মেডিক্যাল কলেজ থেকে গ্রামীণ, প্রতিবাদে সরব সব হাসপাতাল

সমস্যার কথা জানালে সোমবার সকালে হাসপাতালের ডিউটি শেষ করে মৌসুমী ঝাড়গ্রাম ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দেন। তিনি বলেন, ‘যেহেতু রোগিণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাই চিকিৎসক রক্ত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ব্লাড ব্যাঙ্কে ওই গ্রুপের রক্ত ছিল না। ওঁকে প্রাণে বাঁচাতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।’

চন্দন শতপথী বলেন, ‘প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্যেও রোগিণীকে বাঁচাতে মৌসুমী যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version