এই সময়: ১৫ বছর আগের ঘটনা। তারিখটা ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ওই দিনই প্রথমবার রেলের ট্র্যাকে গড়িয়েছিল দুরন্ত এক্সপ্রেসের চাকা। কিন্তু যাত্রার শুরুতেই বিঘ্ন। বিশ্বকর্মা পুজোর আবহে ওই সময়ে ট্রেনের ওভারহেডে জড়িয়ে গিয়েছিল ঘুড়ি ওড়ানোর মাঞ্জা দেওয়া সুতো। তাতেই থমকে গিয়েছিল সেই সময়ে দেশের অন্যতম দ্রুতগতির দূরপাল্লার ট্রেন।দেড় দশক পরেও ভারতীয় রেলের মাথাব্যথার কারণ মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ির সুতো। সামনেই স্বাধীনতা দিবস। তার মাসখানেকের মধ্যেই বিশ্বকর্মা পুজো। সাধারণত বছরের এই সময়টায় ঘুড়ির সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যায়। এবার যেন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে রেলের আধিকারিকদের আশঙ্কাও। পূর্ব রেলের বিভিন্ন জ়োনের কর্মীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বার্তা। সতর্ক করা হয়েছে রেলওয়ে ট্র্যাক সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে।
পূর্ব রেলের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ওভারহেড তারগুলোয় সাধারণত হাই ভোল্টেজ চার্জ থাকে। সুতরাং এই ধরনের তারে ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে গেলে তা ছাড়ানোর চেষ্টার পরিণতি প্রাণঘাতী হতে পারে। এর পাশাপাশি ঘুড়ির সুতো ওভারহেড ইকুইপমেন্টসে (ওএইচই) জড়িয়ে গেলে ট্রেনের মসৃণ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
পূর্ব রেলের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ওভারহেড তারগুলোয় সাধারণত হাই ভোল্টেজ চার্জ থাকে। সুতরাং এই ধরনের তারে ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে গেলে তা ছাড়ানোর চেষ্টার পরিণতি প্রাণঘাতী হতে পারে। এর পাশাপাশি ঘুড়ির সুতো ওভারহেড ইকুইপমেন্টসে (ওএইচই) জড়িয়ে গেলে ট্রেনের মসৃণ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
একটি লাইন থেকে অন্য লাইনে ট্রেন যাওয়ার জায়গায় অর্থাৎ ক্রসিংয়ের সময় ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফে সুতো জড়ালে সেটা মেরামত করা একটা দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টা। এমন ঘটনা শর্ট সার্কিটেরও কারণ হতে পারে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, হাই ভোল্টেজ তারে আটকে যাওয়া ঘুড়ির সুতো ছাড়াতে গিয়ে বালকের প্রাণহানির ঘটনার একাধির নজির রয়েছে। এই ঘটনা অনভিপ্রেত।
এই কারণেই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রেল ট্র্যাকের পাশাপাশি এলাকায় ঘুড়ি না ওড়ানোর নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি একই সঙ্গে পূর্ব রেল কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছে ট্র্যাক পরীক্ষার সময়ে কাছাকাছি কাউকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখলে তাকে সতর্ক করার জন্য। সংস্থা অনুরোধ করছে, রেল পরিসরের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।