বাইরে তখন রাত দখলের দাবিতে আন্দোলন চলছে শহরজুড়ে। বুধবার রাত সওয়া ১২টার কিছু পরে বাইরের আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে একদল যুবক আচমকা ঢুকে পড়ে আরজি কর ক্যাম্পাসের ভিতরে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতাল। এক দল অজ্ঞাত পরিচয় ছেলে মেয়ে ধর্নামঞ্চে ভাঙচুরের পর হামলা চালায় এমারজেন্সি বিভাগে। মধ্যরাতে হামলাকারীদের আক্রমণে তছনছ হয়ে যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। নষ্ট কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি। উধাও ওষুধ। এখানেই শেষ নয়, এই বহিরাগতরা হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। উল্টে ফেলা হয় গাড়ি। এমনকী নিস্তার পায়নি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিও। চলে দেদার ভাঙচুর। প্রথমে পুলিশ কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকের অভিযোগ, পুলিশ এই বহিরাগতদের বাধাও দেওয়ার চেষ্টা করেনি। পরে পুলিশ ওই বহিরাগতদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুরো ঘটনায় উগরে দেন ক্ষোভ। দায়ী করেন রটনাকে, মিথ্যে প্রচারকে। কলকাতা পুলিশের ভূমিকার সমালোচনারও জবাব দেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version