এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শোকসভা এবং মোমবাতি মিছিলে সামিল হলেন মহানগরের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, প্রাক্তনী এবং শিক্ষক সংগঠন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী ও পড়ুয়ারা শুক্রবার মোমবাতি হাতে মৌন প্রতিবাদ মিছিল করেন। তাতে সামিল হয়েছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী, অরিন্দম শীল, বিক্রম ঘোষ-সহ অনেকে।কলেজের সামনের গেট থেকে বিকেল পাঁচটায় মিছিল শুরু হয়। মাদার টেরেসা সরণি, ইউএন ব্রহ্মচারী সরণি, শর্ট স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট ঘুরে কলেজের সামনের গেটেই তা শেষ হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা) শুক্রবার ক্যাম্পাসে কর্মবিরতি পালন করে। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ক্লাস বয়কটের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করে। শিক্ষকরা দুপুর একটা থেকে তিনটে পর্যন্ত অরবিন্দ ভবনে অবস্থানে বসেছিলেন।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল মিছিল করেন। প্রেসিডেন্সি অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশনও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পলিটেকনিক শাখা আরজি করের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যের সব সরকারি পলিটেকনিক কলেজে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল।

‘পতাকা নিয়ে গুন্ডাগিরি করা যায় না’, আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় মমতার নিশানায় কারা?

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঠিক বিচার চাই। দোষীরা দ্রুত শাস্তি পাক।’ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থানের পর ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বিটি রোডে সিঁথির মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে আসেন।

সমিতির সভাপতি জ্যোৎস্না চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘খুন-ধর্ষণের প্রমাণ লোপাটে মধ্যরাতে আরজি করে যে ভাবে দুষ্কৃতী হামলা হলো, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।’ আরজি করের ঘটনায় সরব হয়েছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং আধিকারিকরা। দ্রুত ন্যায় বিচারের দাবিতে করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখান প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version