জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজিকরে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও বড়সড় কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি সিবিআই। তারা তদন্তভার নেওয়ার পর এমন কোনও ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি যার জন্য এই ঘটনার জন্য আন্দোলনকারীরা অস্বস্ত হতে পারেন। সিবিআই ইতিমধ্যেই আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জেরা করছে সিবিআই। এর মধ্যেই বড় খবর হল আরজিকর কাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে হাথরস ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তকারী এক অফিসারকে।
আরও পড়ুন-‘মুসলিম মহিলাদের জীবন….’, তিন তালাকের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জোর সওয়াল কেন্দ্রের
তরুণী চিকিত্সকের মৃত্যু তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে হাথরসকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার সীমা পাহুজাকে। ওই তদন্তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সিবিআইয়ের ডিএসপি পদমর্যাদার সীমা পাহুজা। তিনি ওই ঘটনার তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ফলে সিবিআই এবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে।
সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে ৯৬ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ধৃত সঞ্জয় রায়কে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সঞ্জয়ের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে চায় সিবিআই। পাশপাশি সিবিআই সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্টও করতে চায়। এনিয়ে তারা আদালতে আবেদন করবে।
এদিকে, অটোপসি রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রেনি ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এমনকী তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুধু শারীরিক আঘাতই নয় ভয়ংকর যৌন নির্যাতন এবং ফোর্সফুল পেনিট্রেশনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার মাথা, মুখ, ঘাড়, হাত এবং যৌনাঙ্গে ১৪ টিরও বেশি গভীর ক্ষতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
খুনের কারণ হিসাবে জোর করে শ্বাসরোধের কথাও বলা হয়েছে অটোপ্সি রিপোর্টে। এমনকী খুনের পদ্ধতি হোমিসাইড। যৌন নিপীড়ন তো বটেই, যোনিতে গভীর ক্ষতেই প্রমাণও বীভত্স। যৌনাঙ্গে “সাদা, পুরু, চটচটে” তরলও পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে ফুসফুসে রক্তক্ষরণ এবং শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তবে হাড় ভাঙার কোনও প্রমাণ নেই। রক্ত এবং অন্যান্য শারীরিক তরলের নমুনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)