‘অপরিচিতদের সঙ্গে OTP শেয়ার নয়’, সাইবার প্রতারণা এড়াতে বহুবার এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের তরফে। কিন্তু কৌশল কি বদলাচ্ছে প্রতারকরা? সম্প্রতি বীরভূমের সাঁইথিয়াতে কোনও OTP ছাড়াই এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বেসরকারি ব্যাঙ্কের বীরভূম শাখায় অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর। এই ঘটনাই চিন্তার ভাঁজ ফেলছে তদন্তকারীদের কপালে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, ‘অজানা কোনও নম্বর থেকে ফোন করে OTP চাওয়া হলে তা যাতে দেওয়া না হয়, এই নিয়ে ব্যাপক প্রচার চলেছে। মানুষও সচেতন হয়েছেন। ফলে প্রতারকদের পন্থা বদল করা অসম্ভব নয়।’বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা মৃন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২০ অগস্ট গায়েব হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনি জানিয়েছেন, কোনও OTP তাঁর থেকে চাওয়া হয়নি। যে নম্বরটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক ছিল সেখানে টাকা তুলে নেওয়ার কোনও মেসেজও আসেনি। বিষয়টি নজরে আসার পরেই বীরভূম পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ওই টাকা গচ্ছিত ছিল বলে দাবি করেন মৃন্ময়। চিকিৎসার জন্য টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২ লাখের বেশি টাকা।

এই মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়ার পরেও কেন তাঁর ফোনে কোনও মেসেজ এল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই ব্যক্তি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বীরভূম সাইবার ক্রাইম থানা। কীভাবে এই মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হল? তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

উল্লেখ্য, সাইবার ক্রাইম ঠেকানোর জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে বিশেষ নম্বর চালু করা হয়েছে। ১৯৩০-এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। ফলে টাকা অন্য কেউ সরিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি অপরাধীদের পাকড়াও করতেও সুবিধা হবে। এই টোল ফ্রি নম্বর চালু করার পর সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় অনেকটাই সুবিধা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা।

বিচারকের টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ফের সিভিক!

সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, ‘সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। OTP শেয়ার না করার বিষয়টি বারংবার প্রচার করা হয়েছিল। ফলে এই নিয়ে এখন অনেকেই সচেতন। প্রতারকরা জালিয়াতির অন্য ছক খুঁজলেও তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version