এই সময়: কলকাতায় ও গোটা দক্ষিণবঙ্গে এখন বৃষ্টিভেজা আবহাওয়া। বৃষ্টি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। যে টুকু সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে না, তখনও আকাশ মেঘলা এবং বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব। আগামী কয়েক দিনেও দক্ষিণবঙ্গের এমন আবহাওয়ার বিশেষ কোনও বদল হওয়ার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই বলে মনে করছেন আবহবিদরা। বাংলাদেশের উপর তৈরি নিম্নচাপটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি বাড়িয়ে রবিবার রাতেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।সোমবার সকালে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওই গভীর নিম্নচাপ কাল, বুধবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরেই অবস্থান করবে। তার পর সেটি এগোতে শুরু করবে ঝাড়খণ্ড ও ওডিশার দিকে। তবে বৃহস্পতিবার, ২৯ অগস্টই বঙ্গোপসাগরের উপর ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যথারীতি, পুরোমাত্রায় বহাল থাকছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা রাতারাতি ৪২ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি পেয়ে গেল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এতটা বৃষ্টি পাওয়ায় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অগস্ট মাসে এখনও পর্যন্ত মোট বৃষ্টির পরিমাণ দাঁড়াল ৩৮৬ মিলিমিটার। কলকাতায় অগস্ট মাসে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৫০ মিলিমিটার। আবহবিদদের তথ্য বলছে, এ বছর বর্ষার মরশুমে মহানগর এই প্রথম কোনও মাসে গড় বৃষ্টির চেয়ে বেশি বৃষ্টি পেল।

Rain In Kolkata: দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, হাওয়া বদল কবে?
তা-ও মাস শেষ হতে এখনও পাঁচ দিন বাকি। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটিওরোলজির (আইআইটিএম) রেকর্ড অনুযায়ী, জুনের কলকাতা গড়ে ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি পায়, এ বছর পেয়েছিল ১৪০ মিমি। জুনে গোটা দক্ষিণবঙ্গই স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৬৪ শতাংশ কম বৃষ্টি পেয়েছিল। বর্ষার প্রথম মাসে বৃষ্টির ওই বিপুল ঘাটতি ২৬ অগস্ট সকাল পর্যন্ত পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ।

জুলাইয়ের কলকাতা গড়ে ৩৭৬ মিমি বৃষ্টি পায়, এ বছর পেয়েছে ৩৩৯ মিমি। গড় বৃষ্টির অনেকটা কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়েছিল জুলাই। সেই অভাব কিছুটা পূরণ হয়েছে অগস্টে। আবহবিদদের প্রাথমিক হিসেব বলছে, বর্ষার প্রথম তিন মাসে কলকাতা গড়ে ১০০৩ মিমি বৃষ্টি পায়। সেই জায়গায় এ বার ২৬ অগস্ট সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ৮৬৩ মিলিমিটার। অর্থাৎ, ঘাটতি এখনও পর্যন্ত ১৪ শতাংশ। রাতারাতি ৪২ মিমি বৃষ্টি না-পেলে বৃষ্টির ১৯ শতাংশ ঘাটতি থাকত।

সোমবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপরে থাকা ওই গভীর নিম্নচাপে এসে মিশেছে একটি মৌসুমি অক্ষরেখা। ওই অক্ষরেখাটি পশ্চিম রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জ হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত এগিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version