এই সময়, বেলুড় ও শ্রীরামপুর: বেলুড় মঠে দুর্গার কাঠামো পুজো বরাবরই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করা হয়। এ বারও প্রথা মেনে জন্মাষ্টমীর পুণ্য তিথিতে মা দুর্গার কাঠামো পুজো দিয়ে শুরু হলো বেলুড় মঠে দেবী আরাধনা। মঠে শ্রীরামকৃষ্ণের মূল মন্দিরেই সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে কাঠামো পুজো হয়।জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকে মাহেশ শ্রী শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো শুরু হয়। এ দিন অনেকেই গঙ্গায় স্নান করে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেন। বেলুড় মঠের নিয়ম অনুযায়ী এ দিন ভোরে মূল মন্দিরে ঠাকুরের মঙ্গল আরতির পরে কাঠামো পুজো শুরু হয়। মঠের সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা পুষ্প অর্ঘ্য দিয়ে দেবীর কাঠামোকে পুজো করেন।

এই কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবীর আবাহন পর্ব শুরু হলো। চিরাচরিত কাঠামোতেই প্রতিমা নির্মাণের কাজও এ দিনই শুরু হয়। স্বামী বিবেকানন্দের ইচ্ছায় ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে প্রথম দুর্গাপুজো হয়। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে শ্রীরামকৃষ্ণের আরও এক স্নেহের শিষ্য স্বামী ব্রহ্মানন্দের তৎপরতায় কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা এনে পুজোর ব্যবস্থা হয়।

সেই বছর পুজোর চার দিনই মা সারদা উপস্থিত ছিলেন। পুজোর সংকল্পও হয় সারদা মায়ের নামেই। সেই থেকে আজও সারদা মায়ের নামে বেলুড় মঠের পুজোর সংকল্প হয়ে আসছে। এ দিন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরের ভিতরে ফুলমালা ও নানা উপাচার সহযোগে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবও পালন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এ দিন সকাল থেকে মহিলা, পুরুষরা গঙ্গায় স্নান করে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। ৫২ বছর ধরে মাহেশের শ্যামসুন্দর মন্দিরে শ্যামের পুজো হয়ে আসছে। রাধা ও শ্যামের ভোগ নিবেদন করা হয়। উত্তরপাড়া, হিন্দমোটর, কোন্নগর ও শ্রীরামপুর থেকে ভক্তরা মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা বলাই বণিক বলেন, ‘শ্যামসুন্দর মন্দির নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভাবাবেগ রয়েছে। তাই এ দিন ভক্তের ঢল নামে।’

অনুদানের টাকায় মেয়েদের জন্য সেফটি কিট-সিসিটিভি, উদ্যোগী পুজো কমিটি

শ্রীরামপুর রাধাবল্লভ মন্দিরেও জাঁকজমক করে রাধাবল্লভের পুজো হয়। রাধাবল্লভ জিউ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি প্রদোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘৫২ উপাচারে এ দিন রাধাবল্লভের পুজো হয়েছে। নিত্য ভোগ নিবেদন করা হয়। আজ মঙ্গলবার নন্দউৎসব হবে।’

ডানকুনি টিম হাউসিং পরিচালিত জন্মাষ্টমী এ বার তিন বছরে পড়ল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই পুজো করেন সদস্যরা। পুজোর প্রধান আকর্ষণ ছিল তিন মহিলা পুরোহিত। তাঁরা প্রথমে গীতা পাঠ করেন। তার পর রাধা-কৃষ্ণের পুজো করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version