পুজোর মুখে ফের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রাজ্যে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৬৭৩টি নতুন শূন্যপদ তৈরি করা হল। পুলিশ-সহ একাধিক বিভাগে এই শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই পুলিশ, দমকল সহ বিভিন্ন দপ্তরে মোট ৬৭৩টি শূন্যপদ সৃষ্টির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। নতুন শূন্যপদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে সাব-ইনসপেক্টর নিয়োগের জন্য ৪৯৪টি পদ সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের জন্যেও ১২২টি সহ আরও একাধিক দপ্তরেও নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। খুব শীঘ্রই এই শূন্যপদ পূরণে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসেও রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে মোট ৫৫২টি নতুন পদে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ১০৫টি শূন্যপদ এবং প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরে ২৭০টি পদে নতুন নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া স্কুল শিক্ষা দপ্তরে ৩৫ জনকে নিয়োগ করা হবে।

বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। চাষাবাদ, পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভালো আলুবীজ উৎপাদন এবং কৃষি বিভাগের বিভিন্ন গবেষণা শাখার প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। উন্নতমানের ৫০ লক্ষ আলুচারা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের বিষয়টিতেও বাড়তি জোর দেওয়া হয়। বেশ কিছু দপ্তরের কাজের ঢিলেমি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’ বিল পাশ করাব: মমতা
এর পাশাপাশি, ওড়িশাতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের বিষয়টি উঠে আসে এই বৈঠকে। বিষয়টি নিয়ে আগেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version