উল্লেখ্য, গত জুন মাসেও রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে মোট ৫৫২টি নতুন পদে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ১০৫টি শূন্যপদ এবং প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরে ২৭০টি পদে নতুন নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া স্কুল শিক্ষা দপ্তরে ৩৫ জনকে নিয়োগ করা হবে।
বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। চাষাবাদ, পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভালো আলুবীজ উৎপাদন এবং কৃষি বিভাগের বিভিন্ন গবেষণা শাখার প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। উন্নতমানের ৫০ লক্ষ আলুচারা তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের বিষয়টিতেও বাড়তি জোর দেওয়া হয়। বেশ কিছু দপ্তরের কাজের ঢিলেমি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি, ওড়িশাতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের বিষয়টি উঠে আসে এই বৈঠকে। বিষয়টি নিয়ে আগেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে।