আরজি করের ঘটনার পর নারী নিরাপত্তার দাবিতে তোলপাড় বাংলায়। একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা সরকারি অনুদান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মহিলাদের আত্মনির্ভরতাকে থিম হিসেবে বেছে নিল শহরের অন্যতম পুজো কমিটি, যার সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়েছে রামমোহন সম্মেলনীর থিম। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা। চলতি বছর তাঁদের থিম ‘সম্পন্না-বাংলায় স্বনির্ভর নারীদের শিল্পকথা’।কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘সারা বাংলায় মহিলার স্বনির্ভরতা, কর্মসংস্থানের চাবিকাঠি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেই মা বোনেদের শিল্পকথা নিয়েই রামমোহন সম্মিলনীর এবারের পুজোর থিম সম্পন্না।’ থিম প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবং শশী পাঁজা। কুণাল লেখেন, ‘ বীরবাহার অনুরোধ, পুজোর কেনাকাটা করুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে। সঙ্গে বীরবাহার ঘোষণা ও শশী পাঁজার সংযোজন, শীঘ্রই অনলাইনে পাওয়া যাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রোডাক্ট- শাড়ি, গয়না, হাতের কাজ, সাবান, নানারকম খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী।’

এ দিন শশী পাঁজা বলেন, ‘দুর্গাপুজো এখন ক্রিয়েটিভ ইকনমি। বহু পরিবার এই অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাও মনে রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক পুজো হয় রাজ্যে। মাঝারি, ছোট পুজোগুলির পাশে রয়েছে রাজ্য।’ শশী পাঁজার কথায়, ‘রাজ্য সরকার মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ করে চলেছে। এই পথ কোনওভাবেই অবরুদ্ধ করা ঠিক নয়। ক্রিয়েটিভ ইকনমি প্রমোট করতে চায় রাজ্য। সেই বিষয়টিকে খাটো করা উচিত নয়।’

অনুদানের টাকায় মেয়েদের জন্য সেফটি কিট-সিসিটিভি, উদ্যোগী পুজো কমিটি

কুণাল ঘোষ বলেন, ‘উত্তর কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাব রামমোহন সম্মিলনী। স্বনির্ভর গোষ্ঠী মহিলাদের আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করছে। সরকার এখন তাদের জিনিসপত্র বিপননেও সাহায্য করছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version