এ বার দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল খাস কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ও বড় ক্লাব ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন’। শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই পুজোর সরকারি অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।এই বছর দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাব পিছু ৮৫ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা করেছিল রাজ্য। শুক্রবার ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন’ ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘ দুর্গাপুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুদান আমরা গ্রহণ করছি না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুক্তার এবং অন্য সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকলেই আরজি করের ঘটনায় ন্যায়বিচার চাইছেন। নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।’

এর আগে হুগলির তিনটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখানের কথা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘বৌঠান সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’। আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। হুগল্লির কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটিও একই পথে হেঁটেছে। এ বার খাস কলকাতার ক্লাবও সরকারি অনুদান ফেরাল।

উল্লেখ্য, তৃণমূল সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দেয়। আগে টাকার অঙ্ক ছিল ২৫ হাজার। ২০২৩ সালে পুজো উদ্যোক্তাদের ৭০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বছর সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার খরচও মুকুব করা হয়েছে।

পুলিশের সতর্কতা বৈঠকে ক্ষুব্ধ পুজোর উদ্যোক্তারা, ফেরাচ্ছে অনুদান

প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে কর্তৃব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে। এরপরেই দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনায় দোষীর ফাঁসির শাস্তি দাবি করেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version