এই সময়, বর্ধমান: চিকিৎসা ব্যবস্থায় রাজ্য জুড়ে সিন্ডিকেট রাজ চলেছে বলে বর্ধমানে মুখ খুললেন অ্যাসোসিয়েশন ফর হেল্‌থ সার্ভিস ডক্টর্স-এর যুগ্ম সম্পাদক সুবর্ণ গোস্বামী। বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ পদে কর্মরত। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনিয়ম নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তনী অভীক দে-কে।বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত অভীক। শনিবার অভীক বাহিনীর বিরুদ্ধেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষর কাছে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সুবর্ণ গোস্বামী রবিবার অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য দপ্তরে এরা সিন্ডিকেট রাজ গড়ে তুলেছিল। বড় বড় পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এরা ভূমিকা পালন করেছে। হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডেও অসংখ্য দুর্নীতিতে এরা যুক্ত। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগেও অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।’

এ দিন রাতে বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরের আন্দোলন কর্মসূচিতে এসে সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘অভীকদের সিন্ডিকেটই কৌস্তভ নায়েককে স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে বসিয়েছে। কৌস্তভবাবু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা হয়েছেন।’ এ প্রসঙ্গে কৌস্তভ নায়েককে এ দিন ফোন করা হলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আরও অভিযোগ, অভীককে উচ্চশিক্ষায় নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পূর্বতন অধ্যক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে সংগঠনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

মেডিক্যাল কলেজগুলোয় হয়নি পর্যাপ্ত নিয়োগ, অচলাবস্থার মূলে কি ডাক্তারদের শূন্যপদ?

সুবর্ণ গোস্বামীর বক্তব্য, ‘চিকিৎসকদের একাংশের আন্দোলন এখন শুধুমাত্র আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের বিচারের দাবিতে সীমাবদ্ধ নেই। এখন সব কিছুর বিচার চাইছেন তাঁরা।’

যোগ করেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস মানে শুধু সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি বোঝায় না বা এনকাউন্টার বোঝায় না। আমরা বলছি, সমস্ত কিছুর বিচার চাই। এত দুর্নীতি হয়েছে তার বিচার চাই। এত থ্রেট করা হয়েছে তার বিচার চাই। এই যে সিন্ডিকট রাজ, যারা কায়েম করেছে ও যারা কায়েম করতে দিয়েছে, তাদের সবার বিচার চাই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version