এক ক্লিকের কামাল, বাংলা শব্দ বেঁকে টেরে একেবারে ‘ইউজার’-এর মনের মতো হয়ে যাচ্ছে আজকাল। ‘জাদু’-র নেপথ্যে কম্পিউটার-প্রযুক্তি-এআই, আরও কত কিছু। এহেন ‘ব্যাকস্পেস’ আর ‘অটোকারেক্ট’-এর স্ক্রিনে আবদ্ধ পৃথিবীতে হাতের লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন পশ্চিম মেদিনীপুরে। ‘স্বপনবুড়ো স্মৃতি রক্ষা সমিতি’-র তরফে গত পাঁচ বছর ধরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।রবিবার প্রায় ৮০০ খুদে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। আর এই ব্যাপক সাড়া পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি আয়োজকরা। কম্পিউটার আবদ্ধ জীবনে সোজা লাইনে ঝরঝরে লেখার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে খুদেদের পরিবার।

এই উদ্যোগের আয়োজক সদস্য শিবাশিস বিশ্বাস, শুভাশিস দাস বর্মণ, পুর্ণেন্দু জানার সম্মিলিত মত, ‘কম্পিউটার যতই আসুক, হাতের লেখা সুন্দর-ঝরঝরে হওয়া প্রয়োজন।’ তাঁদের সংযোজন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আজকে অনেক বাবা-মারা হাতের লেখার উপর জোর দেন না। কিন্তু, আমরা চাই প্রত্যেকের হাতের লেখা সুন্দর করার দিকে জোর দিন অভিভাবকরা। আর সেই কারণে আমাদের এই বিশেষ উদ্যোগ।’ প্রতিযোগিতায় বয়স অনুযায়ী পাঁচটি ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিভাগেই প্রতিযোগিতাদের সংখ্যা ছিল নজরকাড়া। খুশি খুদেদের পরিবারও।

School In Bardhaman: পাঠ্যবইয়ের গ্রাফিতি স্কুলের দেওয়াল জুড়ে

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী এক খুদের বাবা বলেন, ‘আজকাল বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিও কম্পিউটারে হয়। বড় বড় সংস্থায় কাজ করার জন্য টাইপিং জানা বাধ্যতামূলক। তাই কোথাও গিয়ে আমরা আর সেই বিষয়গুলি আমাদের সন্তানদের শেখাই না যা এককালে আমি শিখেছিলাম আমার শিক্ষকদের থেকে। সাজা খাতায় লাইন সামান্য বাঁকা হলেই বেতের বাড়ি পড়ত হাতে। লেখা সুন্দর হয়েছিল কি না জানি না, কিন্তু পড়তে কারও অসুবিধা হত না তা হলফ করে বলতে পারি। এই ধরনের প্রতিযোগিতা এই যন্ত্রযুগে হয়তো ওদের একটু কালি, পেন্সিলের মর্মটা বুঝিয়ে দেবে।’ এ দিন সাদা খাতায় লিখতে দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান দখল করা খুদেদের জন্য থাকছে পুরস্কার।
(তথ্য সৌজন্যে সমীর মণ্ডল)



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version