এই সময়: আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মতো স্পর্শকাতর মামলায় একমাত্র ধৃতের হেফাজত-বৃদ্ধির আবেদনের পর্যায়ে নিম্ন আদালতে আইনজীবীর সময়ে হাজির না হওয়া নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় সিবিআই। শুক্রবার শিয়ালদহে সিবিআই স্পেশাল কোর্টে ওই মামলায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু বিকেল সাড়ে চারটেয় শুনানি শুরুর পরেও সিবিআইয়ের আইনজীবী না আসায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক।ওই অবস্থায় ধৃতকে জামিন দিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিচারক। যদিও শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের আইনজীবী হাজির হয়ে ১৪ দিন জেল হেফাজতের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে আদালত। শুধু আইনজীবীই নন, শুক্রবার শুনানিতে হাজির ছিলেন না মামলার তদন্তকারী অফিসারও। আদালত আইও-র খোঁজ করলে এক মহিলা নিজেকে সহকারী তদন্তকারী অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। তাতে কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত।

গোটা ঘটনাক্রমে এখন দিল্লির সিবিআই অফিস থেকে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। দেশকে নাড়া দেওয়া এমন মামলায় সত্যি যদি নিম্ন আদালত শেষ পর্যন্ত ধৃতকে জামিন দিয়ে দিত, তার প্রতিক্রিয়া কী হতো–তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরে। রাত পোহালেই আবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি।

CBI-এর কৌঁসুলি কই? ধমক জজের, সঞ্জয় আরও ১৪ দিন জেলেই

সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষ নালিশ জানালে তার কাউন্টার করার বিষয়টিও নিজেদের কৌঁসুলিদের মাথায় রাখতে বলেছেন অফিসাররা। কেন শিয়ালদহ কোর্টে আইনজীবীর পৌঁছতে দেরি হয়েছে, তার খোঁজ শুরু হয়েছে।

তবে সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘যাঁর দেরি নিয়ে কথা, তিনি স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের খুবই দায়িত্বশীল আইনজীবী। এই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণেই তাঁর পৌঁছতে দেরি হয়েছে। ভবিষ্যতে তদন্তকারী অফিসার এবং আইনজীবী যাতে সময়ে এজলাসে হাজির থাকেন, সে ব্যাপারে দিল্লি সতর্ক করেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version