এ বার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসকের পদ থেকে সরানো হল অভীক দে-র স্ত্রী নূপুর ঘোষকে। তাঁকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। বদলির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। জনস্বার্থে এই বদলি বলে রিলিজ অর্ডারে জানানো হয়েছে।সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের গেস্ট হাউসে অভীক দে-র আইবুড়োভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। দুপুর এবং রাত দু’বেলা ব্যাপক খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কীভাবে মেডিক্যাল কলেজের গেস্ট হাউসে এই ধরনের একটি কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছর মার্চের শেষে তিনি দায়িত্ব নেন। ঘটনা গত বছরের। তাই এই প্রশ্নের জবাব তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই অভীক দে-র বিরুদ্দে প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর রাজ্য শাখা এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলও তাঁকে সাসপেন্ড করেছে।

এসএসকেএম হাসপাতাল থেকেও সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে জেনারেল সার্জারির স্নাতকোত্তর পড়ুয়াকে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অভীক দে পিজি-তে কোনও ক্লাস করতে পারবেন না। ইমার্জেন্সি কিংবা আউটডোর বা ইন্ডোরে পরিষেবা দিতে পারবেন না, অস্ত্রোপচার করতে কিংবা ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে পারবেন না। কোনও সেমিনার কিংবা জার্নাল ক্লাবেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা।

বিতর্কের মাঝেই চিকিৎসক বিরূপাক্ষ ও অভীককে সাসপেন্ড করল স্বাস্থ্য ভবন

অভীকের এসএসকেএম হাসপাতালে পিজিটি পাওয়া নিয়েও বেশ কিছু চিকিৎসক সংগঠন প্রশ্ন তোলে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদও সাসপেন্ড করেছে তাঁকে। এই বিতর্কের আবহে এ বার বদলি করা হল অভীকের স্ত্রীকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version