এই সময়, কাকদ্বীপ: গত বৃহস্পতিবার থেকে খোঁজ ছিল না তিনটি ট্রলারের। দু’টির খোঁজ অবশ্য মেলে সোমবার দুপুরে। দেখা যায় দুই ট্রলারের ৩৩ জনই সুস্থ আছেন। খোঁজ মেলেনি তৃতীয় ট্রলার ও সেই ট্রলারের ১৬জন মৎস্যজীবীর। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার-পরিজনের রাতের ঘুম উড়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে তৃতীয় ট্রলার বাবা নীলকন্ঠের খোঁজ পাওয়া গেল। খোঁজ দিল বিএসএফ।মঙ্গলবার বিকেলে খোঁজ পাওয়া যায় এফবি বাবা নীলকণ্ঠ ট্রলারের। ইঞ্জিন বিকল ট্রলারটিকে গরানখাল নদীতে নোঙর করে রেখে মৎস্যজীবীদের চিকিৎসা, খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে সুন্দরবনের গভীরে চাঁদখালি ফরেস্ট ক্যাম্প লাগোয়া গরানখাল নদীতে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমান্তের কাছে চলে গিয়েছিল।

টহলদারিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের তা চোখে পড়ে। ততক্ষণে মৎস্যজীবীরাও বিএসএফ জওয়ানদের দেখতে পেয়ে ট্রলার থেকে চিৎকার শুরু করেন। বিএসএফ জওয়ানরা স্পিডবোট ও ছোট জাহাজ নিয়ে গিয়ে ট্রলার থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন। এরপর বিএসএফ বিষয়টি বন দপ্তরকে জানায়। বন দপ্তর থেকে খবর পায় মৎস্যজীবী সংগঠন।

খোঁজ নেই ১৬ মৎস্যজীবীর, চলছে হেলিকপ্টারে তল্লাশি
খবর পেয়েই সংগঠনের পক্ষ থেকে ট্রলার ও মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনতে সমু্দ্রে আরও কয়েকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের খোঁজ মেলায় এবং সকলেই সুস্থ থাকায় কিছুটা হলেও চিন্তা কেটেছে পরিবারের লোকজনের। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘প্রকৃতির কাছে আমরা সকলেই অসহায়। তবু শেষ পর্যন্ত যে সকলকেই উদ্ধার করা গিয়েছে সেটাই অনেক।’

উল্লেখ্য, খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে গত ১২ তারিখ এফবি বাবা নীলকন্ঠ, এফবি শ্রীহরি এবং এফবি মা রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল মৎস্যজীবী সংগঠন এবং ট্রলার মালিকদের। বকখালি থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জম্বুদ্বীপের কাছে শেষ দেখা গিয়েছিল তিনটি ট্রলারকে। তিন ট্রলারেরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। বাজ পড়ে নষ্ট হয়ে যায় ট্রলারের ওয়্যারলেসও।

বিষয়টি জেলা মৎস্য দপ্তরকে জানানো হলে তল্লাশি অভিযানে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য চাওয়া। গত রবিবার থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী জাহাজ এবং হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান নামে। শেষেমেশ সোমবার দুপুরে মাঝসমুদ্রে ভাসমান দু’টি ট্রলারের খোঁজ মেলে। ৩৩ জন মৎস্যজীবী মঙ্গলবারই ডায়মন্ড হারবার মৎস্য বন্দরে ফেরেন। ফিরিয়ে আনা হয়েছে দু’টি ট্রলারকেও। এ বার ঘাটে ফেরার অপেক্ষা তৃতীয় ট্রলার ও সেই ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবীর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version