ফের শহরে আক্রান্ত কলকাতা পুলিশ। বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে ট্যাংরা এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পার্কসার্কাস ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। ট্যাংরা অঞ্চলের চায়না টাউন এবং ক্রিস্টোফার রোডে নাকা চেকিং চলছিল। সেই সময় হঠাৎই ২০ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতী চড়াও হয় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর উপর। বেধড়ক মারধর করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এবং এক কনস্টেবলকেও। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

আহত ট্রাফিক সার্জেন্টকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঘাড়ে, পায়ে এবং মাথায় চোট লেগেছে তাঁর। মারধরের কারণে আহত হয়েছেন কনস্টেবল এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারও। ভাঙচুর চালানোর সময় দুষ্কৃতীদের তরফে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়েও হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে কোন কোন দুষ্কৃতী রয়েছে, তার খোঁজে নেমেছে তপসিয়া থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চলছে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ।

Kolkata Police: ৩২ বছরে ৪ জন…, শাসকের কোপে যখন সিপি-রা
একের পর এক ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। এর আগে গত ১৪ অগস্ট রাতে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে বেশ কিছু দুষ্কৃতী ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সেদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। এর কয়েকদিন বাদেই নবান্ন অভিযানের দিন আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হন। উলুবেড়িয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাউড়িয়ার শ্যামসুন্দরচক কলোনির বাসিন্দা পুলিশ কর্মী দেবাশিস হালাদার আহত হন। গুরুতর চোট লাগে তাঁর চোখে। তবে, মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় কেন দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালানো হল সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি পুলিশের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version