হাওড়া জেলার আমতা-২ ব্লকের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন করে প্লাবিত একাধিক গ্রাম। ফলে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষদের সমস্যা আরও বাড়ল। বৃহস্পতিবার আমতার সেহাগড়ি মোড় থেকে উদয়নারায়নপুর যাওয়ার রাস্তায় শ্যাওড়াবেড়িয়া মোড় পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছিল।শুক্রবার সেহাগড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, সেহাগড়ি মোড় থেকে জয়পুর যাওয়ার রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় এখানেও যান চলাচল বন্ধ। ফলে প্রয়োজনে মানুষকে বাইরে বের হতে হলে জল পেরিয়েই যেতে হচ্ছে। অনেকেই ডিঙি নৌকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন।
অন্যদিকে থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা প্রবল সমস্যায় করেছে। কোথাও এক কোমর আবার কোথাও আবার গলা অবধি জল। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই সেহাগড়ি সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ির গৃহপালিত পশু নিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।
অন্যদিকে থলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা প্রবল সমস্যায় করেছে। কোথাও এক কোমর আবার কোথাও আবার গলা অবধি জল। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই সেহাগড়ি সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ির গৃহপালিত পশু নিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।
তাঁদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মেলেনি। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, ব্লকের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৯ টি ত্রাণ শিবিরে ৬ হাজার লোককে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
অন্যদিকে উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। উঁচু জায়গা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনেক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে থাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ এতটুকু কমেনি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।