ক্লাস চলাকালীন খুলে পড়ল চলন্ত সিলিং ফ্যান। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পড়ুয়াদের। ঘটনা হুগলি জেলার পোলবায়। তবে, ফ্যান খুলে মাথায় পড়ায় গুরুতর আঘাত লাগে তিন ছাত্রের। ঘটনায় আতঙ্কিত পড়ুয়া-সহ অভিভাবকরা।পাণ্ডুয়ার পর পোলবায় ফের একটি স্কুলে চলন্ত ফ্যান খুলে পড়ে দুর্ঘটনা। পোলবার বেলগড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলার সময় সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। দু’জন পড়ুয়া সামান্য আহত হয়েছে। শনিবার বেলা একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আহত পড়ুয়াদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত পড়ুয়াদের। আহত এক ছাত্রের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ দাস জানান, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস চলছিল। একটি সিলিং ফ্যান হঠাৎ খুলে পড়ে যায়। তিনজন পড়ুয়া আহত হয়। রনজিৎ নামে এক পড়ুয়ার মাথা ফেটে যায়। তাদের দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ দাস জানান, স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস চলছিল। একটি সিলিং ফ্যান হঠাৎ খুলে পড়ে যায়। তিনজন পড়ুয়া আহত হয়। রনজিৎ নামে এক পড়ুয়ার মাথা ফেটে যায়। তাদের দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চতুর্থ শ্রেণির আহত এক ছাত্র বলে, ‘হেডস্যার বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই ফ্যানটি খুলে আমাদের মাথায় পড়ে। আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। স্যার আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’ গত জুলাই মাসেও হুগলির পাণ্ডুয়ার রাধারানী গার্লস হাইস্কুলে টিফিন চলাকালীন ছাত্রীদের মাথার উপর ভেঙে পড়ে একটি পাখা। ঘটনায় আহত হয়েছিল চার ছাত্রী।
অভিভাবকরা জানান, পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। প্রতি মাসে বা কিছুদিন অন্তর স্কুলের সমস্ত সিলিং ফ্যান ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এই ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানিও হতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই সব বৈদ্যুতিক সামগ্রী পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে।