ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে চলত প্রতারণা চক্র। প্রতারণার দায়ে হাওড়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৩। ধৃতদের নাম বীরেন্দ্র পান্ডে, শ্যাম মিত্তল এবং চন্দ্রশেখর রায়। ওই অফিস থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২৪ লক্ষ টাকা, ৬ টি মোবাইল সেট, ১৪ টা সিপিইউ, একটি ল্যাপটপ, ১৬ টি ডেস্কটপ। এছাড়াও ধৃতদের ক্রিপ্টো কারেন্সি অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার ৩০০ কানাডিয়ান ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।হাওড়া সিটি পুলিশ এবং সাইবার সেলের গোয়েন্দারা বালি ফায়ার ব্রিগেড অফিসের কাছে একটি আবাসনে হানা দেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ বিশপ সরকার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে বালির ওই ভুয়ো কল সেন্টারের উপর গোপনে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। সুযোগ বুঝে গতকাল রাতে পুলিশ ওই অফিসে হানা দেয় তিনজনকে ধরে ফেলে।

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তারা মূলত বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার জন্য টার্গেট করত। নিজেদের মাইক্রোসফট অথবা উইন্ডোজ কোম্পানির টেকনোলজিকাল সাপোর্ট কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করা হতো। কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ সারিয়ে দেওয়ার নামে তাঁদের ‘এনই ডেস্ক’ বা টিম ভিউয়ার’ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করানো হতো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে। এরপরেই কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের নিয়ন্ত্রণ তাঁদের নিজেদের হাতে নিত প্রতারকরা। পরবর্তী পর্যায়ে বিটকয়েন-এর মাধ্যমে কিউআর কোড তৈরি করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে নেওয়া হতো।

টেলিগ্রামে প্রতারণার ফাঁদ, প্রবীণের থেকে ৫৮ লক্ষ হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রায় এক বছর ধরে এই চক্র কাজ করছিল। এভাবেই অনেক কানাডিয়ান নাগরিকের টাকা হাতিয়েছে প্রতারকরা। এই চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও প্রতারণা চক্রের যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা হতে শুরু করে। এরপরেই ওই অফিসের উপর নজরদারি চালানো শুরু করে পুলিশ। অফিস থেকে ধৃতদের হাতেনাতে ধরা হয়। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version