বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে চা-শ্রমিক সংগঠনগুলি। পুজোর বোনাস নিয়ে জটিলতার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন চা শ্রমিকরা।বন্‌ধের জেরে থমথমে পাহাড়। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিকে সোমবার পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ। শিলিগুড়ি থেকে কোনও গাড়ি দার্জিলিং, কার্শিয়াং যাচ্ছে না। চরম হয়রানি পর্যটক ও নিত্যযাত্রীদের। পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা। এছাড়াও ভারতীয় জনতা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজপিএম) এই বন্‌ধকে সমর্থন করেছে। সকাল থেকে কিছু গাড়ি পাহাড়ে গেলেও সেগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালকরা জানাচ্ছেন, শ্রমিকদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। সারা বছর কাজ করেন তাঁরা। পুজোর সময় ২০ শতাংশ বোনাস তাঁদের প্রাপ্য।

এনজেপি, বাগডোগরা-সহ নানা জায়গায় গাড়ির স্ট্যান্ড কার্যত ফাঁকা। অশান্তি এড়ানোর জন্য পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পুজোর সময় বহু পর্যটক পাহাড়মুখী হন। চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের।

কেন পাহাড়ে বন্‌ধের ডাক?

চা শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি তুলেছেন। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ চা বাগানের মালিক কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির দাগাপুরের শ্রমিক ভবনে ফের বোনাস নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ৮৭টি চা বাগানের বোনাস নিয়ে এই আলোচনায় বসা হয়েছিল। সেই বৈঠকে চা বাগানের মালিকেরা জানান, ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ বোনাস দিতে রাজি তাঁরা। এরপরই চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ সোমবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ডাকে।

জয়েন্ট ফোরামের ডাকা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে জিটিএ চিফ এক্সজিকিউটিভ অনীত থাপার দল ভারতীয় জনতা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা(বিজপিএম)। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বন্‌ধ চলবে বলে জানিয়েছেন জয়েন্ট ফোরামের সদস্যরা। এর আগেও শিলিগুড়িতে চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তা বিফলে যায়। রাজ্যের টি অ্যাডভাইসারি কমিটি এবং রাজ্যের শ্রম দপ্তরকে বোনাস নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে।

পাহাড়ে মমতা

এ দিকে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য রবিবারই সেখানে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার কথা। এই আবহে তিনি কি চা শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন? তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version