আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই ব্যবস্থা তৈরি হলে এক দিকে যেমন অভিযুক্ত গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তেমনই পরিববহণ দপ্তর এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ডেটা রেকর্ড করতে পারবে। তা হলে বোঝা যাবে কোন এলকায় কখন বাড়ছে দূষণের মাত্রা। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এই বিষয় নিয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পরিবহণ দপ্তর একটি আরএসডি কিনেছিল। গত নভেম্বর থেকে সেটি বন্ধ। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অবশ্য জানিয়েছে, রাজ্যে ২০টি আরএসডি চালু রয়েছে।
সুভাষ জানান, আরএসডি গাড়ির ধোঁয়ার সঙ্গে নির্গত কার্বন এবং পার্টিকুলেট ম্যাটার (দুষণ কণা) সঠিক ভাবে মাপতে সক্ষম। সুভাষ বলেন, ‘আমি গত কয়েক বছর ধের রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু একটির বেশি আরএসডি-র ব্যবস্থা করা যায়নি। আমাকে বলা হয়েছিল, সেই যন্ত্রের দাম অনেক।’
তাঁর অভিযোগ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দু’টি আরএসডি পরিবহণ দপ্তরকে দিলেও সেটির সংশ্লিষ্ট সংস্থা (যেমন ‘নিরি’) অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে চালু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের নির্দেশ রয়েছে, আরএসডির সঙ্গে ‘বাহন’ পোর্টালের লিঙ্ক থাকবে। কোনও গাড়ি দূষণ বিধি ভাঙলে সেই গাড়ির বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে। এবং সেন্ট্রাল সার্ভার হয়ে সেই মেসেজ পৌঁছে যাবে গাড়ির মালিকের কাছে।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সসদ্য অরুণকুমার ভার্মা নির্দেশ দেন, সুভাষ যে অভিযোগগুলি তুলেছেন, তার সারবত্তা কতটা। যে আরএসিডি-গুলি কেনা হয়েছিল, সেগুলি কোথায় গেল? যদি আনা হয়েছিল, তা হলে কেন সেগুলি কাজে লাগানো হলো না? রাজ্য পরিবেশ দপ্তর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য পরিবহণ দপ্তর, কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রককেও এই বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে।