নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল বৃহস্পতিবারই বন্ধ করেছে পুলিশ। শুক্রবার থেকে সেতুর একটি লেন দিয়ে বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গৌরাঙ্গ সেতুর মাঝামাঝি অংশের দু’টি স্ল্যাবের সংযোগস্থলে প্লেট সরে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিপত্তি ঘটে। সেতুর একটা অংশ ওঠানামা করতে দেখা যায়। সেই ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাস ও ভারী যান চলাচল। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এসে বিপজ্জনক অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন। ‘রাস্তা বন্ধ’ লেখা বোর্ডও ঝোলানো হয়। কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের যোগাযোগের এক মাত্র পথ গৌরাঙ্গ সেতু। এমনিতেই বছরভর এই পথে যান চলাচলের চাপ থাকে। পুজোর মধ্যে এই সেতুর বিপত্তির কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
Nabadwip Gouranga Setu: পুজোর মুখে বন্ধ গৌরাঙ্গ সেতু, সমস্যায় নদিয়া-বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা এ দিন সেতু পরিদর্শনে পৌঁছন পূর্ত দপ্তরের সচিব অন্তরা আচার্য এবং নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। সঙ্গে বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দলও ছিল। কবে থেকে ব্রিজ পুরোপুরি খুলে যাবে? সচিব বলেন, ‘পুরনো ব্রিজের মেরামতি করতে হবে। সেতুর নকশায় কিছুটা জটিলতা রয়েছে, বিশেষ মেটেরিয়ালেরও প্রয়োজন। ফলে সেটা করতে একটু সময় লাগবে। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ ভালোভাবে হবে। ফলে এখনই ভারী গাড়ি চলাচলের অনুমতি আমরা দিতে পারব না। প্রাথমিকভাবে যেটুকু কাজ করার তাও হচ্ছে।’
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও এই সেতুতে বিপত্তি দেখা যায়। ১৯৭২ সালে গৌরাঙ্গ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। সেতুটি লম্বায় প্রায় ৫৮০ মিটার এবং চওড়ায় ৭ মিটার। ১৯৮২ সালে গৌরাঙ্গ সেতু খুলে দেওয়া হয়। শুধু নদিয়া, বর্ধমান নয় উত্তরবঙ্গ- সহ দক্ষিণবঙ্গ তথা কলকাতায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের পথ এই গৌরাঙ্গ সেতু।