তাঁর কথায়, ‘যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র কোনও সম্পর্ক নেই। সেই কারণে আমাদের শ্রমিক সংগঠনের তরফে জলপাইগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পতাকার অপব্যবহার করে এই কাজ করা হয়েছে।’
যদিও ওই সিমেন্ট কারখানায় আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতা বিট্টু বর্মণের দাবি, তাঁরা সবাই তৃণমূল কর্মী। তাঁর বক্তব্য, ‘২০২১-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হলেও এই কারখানার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ থেকে। এখানকার কর্মীরা সেই হিসেবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। আশপাশের অন্য সব কারখানায় ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হচ্ছে। এখানকার কর্মীদেরও একই হারে বোনাস দিতে হবে।’
ওই শ্রমিক নেতার আরও দাবি, স্থানীয় থানাকেই জানিয়ে এই আন্দোলন করা হচ্ছে। মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন দীর্ঘায়িত করতে শ্রমিকদের জন্য রান্না-খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের অনুগামী বলেও দাবি স্থানীয় সূত্রের। যদিও কৃষ্ণর বক্তব্য, ‘নেতাদের নাম করে যে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, তা একেবারেই অনভিপ্রেত। শ্রমিকরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন। প্রয়োজনে আদালতেও যেতে পারেন। কিন্তু কোনও নেতাদের নামে স্লোগান দেওয়া ঠিক নয়।’
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তপন দে জানিয়েছেন, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তাই তিনিই থানায় অভিযোগ করেছেন।
সিমেন্ট কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট সীতেশ জহরি বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ‘আন্দোলনের জেরে বুধবার থেকে প্লান্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে দু’দিনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা।’ তাঁর দাবি, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা অস্থায়ী শ্রমিক। এঁরা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করেন। তা ছাড়া কারখানার বয়স পাঁচ বছর হয়নি। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে প্লান্টে উৎপাদন শুরু হয়। ফলে নিয়ম মতো তারা বোনাস দিতে অপারগ। পরিবর্তে তাঁরা উৎসব ভাতা দিতে চান। কিন্তু শ্রমিকরা তা মানছেন না।
