লালবাজার ডাক্তারদের মেল করে জানিয়েছে, ট্রাফিক পরিষেবার কথা মাথায় রেখে ওই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্না এবং অনশন কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। পুলিশের বক্তব্য, পুজোর আগে প্রতিদিন বহু মানুষ এই এলাকায় কেনাকাটার জন্য আসেন। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলিতে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুজোর আগে এই ধর্না কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় গিয়ে তাঁরা জানান, কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু রাতেই ধর্মতলায় ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যদি তাঁদের দাবি পূরণ না হলে সেক্ষেত্রে আমরণ অনশন করবেন তাঁরা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
শুক্রবার জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের শান্তিপূর্ণ মিছিল ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের মধ্যে ঢুকতেই এক সতীর্থকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি করেন তাঁরা।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সুরক্ষার বিষয়গুলি নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান এবং অনশনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ধর্নার অনুমতি দিল না লালবাজার।