এই সময়: শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে তখন সমানে বেজে চলেছে ঢাক। মাইকে চলছে গান। আকাশে-বাতাসে উমার আগমন-বার্তা। বোধনের আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। উল্টো দিকে শিয়ালদহ আদালত চত্বরে বসে সহকর্মীদের কাছে এক মহিলা ওই একই সময়ে আক্ষেপ করে চলেছেন, দুর্গাপুজোর আগে আরজি করের এই ঘটনা কোনও ভাবেই মানা যায় না। তিনি সীমা পাহুজা।তিনিই ছিলেন হাথরসে ধর্ষণ-খুনে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের অন্যতম অফিসার। এ বার তাঁর হাত ধরেই তৈরি হয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রথম চার্জশিট। ঘনিষ্ঠদের কাছে তাঁর বার্তা, লড়াই এখনও শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে। সব তথ্য সামনে আনার জন্যে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। দুর্গাপুজোর আবহে আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে চিক চিক করে উঠল পেশাদার এক সিবিআই অফিসারের চোখও।
আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে ৫৮ দিনের মাথায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গত বেশ কিছু দিন ধরে কলকাতাতেই রয়েছেন সীমা। সামগ্রিক তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সম্পত মিনা। তাঁকে শুরু থেকেই তদন্তে সঙ্গ দিচ্ছেন সীমা।
আরজি করের ঘটনার তদন্তে নেমে ৫৮ দিনের মাথায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গত বেশ কিছু দিন ধরে কলকাতাতেই রয়েছেন সীমা। সামগ্রিক তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সম্পত মিনা। তাঁকে শুরু থেকেই তদন্তে সঙ্গ দিচ্ছেন সীমা।
দুর্গাপুজোর আগে কলকাতায় এসে এমন ঘটনার তদন্ত তাঁকে করতে হবে, তা কখনও ভাবতে পারেননি বলেই ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছন সীমা। আরজি করের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বার বার তিনি শিউরে উঠেছেন। ঘনিষ্ঠদের তিনি জানিয়েছেন, বার বার শুধু মনে হচ্ছে কী কী ঠিক ঘটেছে মেয়েটির সঙ্গে। ন্যায়বিচার হলে তবেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে। মা দুর্গার কাছে সেই আর্জিই জানাচ্ছেন সীমা।