এই সময়, সামশেরগঞ্জ: রবিবার রাতের পরে মঙ্গলবারও ফের ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার উত্তর চাচণ্ড এলাকার লোহরপুর গ্রামে। রবিবার রাতে ভাঙনে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ১২টি বাড়ি, চাষের জমি। এ দিন ফের ভাঙন শুরু হলে আতঙ্কে আসবাবপত্র নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করেন অনেকে।অভিযোগ, শুধুমাত্র বালির বস্তা ফেলে গঙ্গা ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করেছে প্রশাসন। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সফি সুলতান বলেন, ‘একটু একটু করে গঙ্গা এগিয়ে আসছে। গোটা গ্রামই মনে হচ্ছে নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। আতঙ্কে অনেকে পরিবার নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। কেউ থেকে গিয়েছেন ইট-কাঠ খুলে নেওয়ার জন্য।’
গত বছরের স্মৃতি উসকে এ বারও দুর্গাপুজোর আগে গঙ্গা ভাঙন শুরু হওয়ায় পুজোর আনন্দ উধাও। এখন শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে চিন্তা। সোমবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। ভাঙন রোধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দুর্নীতি আর কাটমানিতেই সব শেষ। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কংগ্রেস কর্মীরা কলকাতায় অনশনে বসবেন।’
গত বছরের স্মৃতি উসকে এ বারও দুর্গাপুজোর আগে গঙ্গা ভাঙন শুরু হওয়ায় পুজোর আনন্দ উধাও। এখন শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে চিন্তা। সোমবার দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। ভাঙন রোধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দুর্নীতি আর কাটমানিতেই সব শেষ। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে কংগ্রেস কর্মীরা কলকাতায় অনশনে বসবেন।’
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার রাতে ভয়াবহ ভাঙনে ৪৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৪ বছরে শতাধিক বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। এর আগেও অধীর চৌধুরী এখানে দাঁড়িয়ে অনেক মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও হেরফের হয়নি।’