এই সময়, মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের বড়বাজার এলাকায় ভট্টাচার্য বাড়িতে পুজো হয় অষ্টভুজা দুর্গার। কথিত আছে, নিজের গুরুদেবের আদেশের কিছু দিনের মধ্যে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছিলেন নিঃসন্তান পশুপতিনাথ শাস্ত্রী সপ্ততীর্থ।তাঁর বড় ছেলে দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে শোনা, এই পুজো নাকি শুরু হয়েছিল ১৯৩৭ সালে! তখনও দেশে ইংরেজ শাসন চলছে। আমাদের পরিবারের দুর্গাপ্রতিমা অষ্টভুজা। বাঁ দিকে নয়, মহিষাসুর থাকে দেবীর ডান দিকে। এই প্রতিমা বারো মাস থাকে। নিত্যপুজো হয়। বোধন হয় না। সপ্তমী থেকে নবমী বিশেষ পুজো হয়। আগে ছাগবলি হতো। তবে এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। বদলে চালকুমড়ো, আখ বলি হয়।’

পরিবারের সদস্যা সোমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুজোর ক’দিন মায়ের অন্নভোগ রান্না করতে হয়। সপ্তমীর দিন সাত রকমের, অষ্টমীতে আট রকমের ভাজা-তরকারি হয়। নবমীতে নয় রকমের ভাজা এবং মাছের পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীতে শোলমাছ পোড়া ও পান্তাভাত দেওয়া হয় মাকে। সন্ধিপুজোর সময়ে মন্দিরের দরজার দু’পাশে দু’টি প্রদীপ জ্বেলে মাঝে সিঁদুর রাখা হয়। যে সিঁদুর সারা বছর পরেন পরিবারের মহিলারা।’
কমেছে জৌলুস, প্রাচীন রীতিনীতি মেনে দুর্গাপুজোয় আয়োজন মহিষাদল রাজবাড়িতে

বড়বাজার এলাকায় ভট্টাচার্য পরিবারের পুরোনো মাটির বাড়ি আজও বর্তমান। সেই মাটির বাড়ির মধ্যেই পুজো হয় দেবী দুর্গার। পুজোর আগে আজও লাল মাটির প্রলেপ দেওয়ার রীতি আছে। পুরোপুরি পারিবারিক খরচেই চলে এই পুজো। বহু মানুষ আসেন অষ্টভুজা দুর্গাদর্শনে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version