অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে, রবিবার সকাল থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে, আরও দুই চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো এবং অলোক ভার্মার অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনুষ্টুপকে দেখতে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। অনুষ্টুপের পায়ুদ্বার থেকে রক্ত আসছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার সকালে অনুষ্টুপ ভালো আছেন। সিভিয়ার পেপটিক আলসার থেকে ব্লিডিং হচ্ছিল। ওষুধ দিয়ে সেটা সামলানো গিয়েছে। ৮০ মিলিগ্রামের হিউজ ইনজেক্টিবল প্যান্টোপ্রাজোল দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি সামলাতে। ব্লিডিং বন্ধ হয়েছে ভোর-রাত থেকে। ফলে রক্ত দিতে লাগেনি।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় অলোক কুমার ভার্মাকে। রবিবার সকালে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে খবর। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে উন্নতি করেছে বলে খবর।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় অলোক কুমার ভার্মাকে। রবিবার সকালে তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে খবর। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা আগের থেকে উন্নতি করেছে বলে খবর।
শনিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় অনুষ্টুপকে। শনিবার সকালেই উত্তরবঙ্গে অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন চিকিৎসক অলোক কুমার ভার্মাও। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনিকেত মাহাতোও।
উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় ছয়জন চিকিৎসক অনশন শুরু করেন। বর্তমানে ধর্মতলায় অনশন চালাচ্ছেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, আলোলিকা ঘোড়ুই এবং পরিচয় পাণ্ডা। অনশনকারী প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলেই জানা গিয়েছে। যদিও, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের অবস্থানে অনড়। দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই জানানো হয়েছে।
তথ্য সহায়তায় : অনির্বাণ ঘোষ