এই সময়: কালীপুজোর সময়ে শুধু পরিবেশবান্ধব ফাটানোরই অনুমতি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অথচ রাজ্যে এমন বাজি তৈরির অনুমতি মাত্র তিনটি সংস্থার রয়েছে বলে পরিবেশ দপ্তর সূত্রে খবর। অর্থাৎ, চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। সে কারণে এ বারও দীপাবলির আগে বাজি বাজারগুলিতে ভিন রাজ্য থেকে নিষিদ্ধ বাজি ঢুকবে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।তা ছাড়া, গত বছর থেকে রাজ্যে বাজির ক্ষেত্রে শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে ৯০ থেকে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। এতে এমনিতেই সব ধরনের বাজি ‘পাশ’ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে শহরের বাজি বাজারগুলিতে যাতে নিষিদ্ধ বাজি ঢুকতে না পারে, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতায় রাতের দিকেই বাজি আসে মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও তামিলনাড়ুর শিবকাশী থেকে। তা রুখতে ১৮টি জায়গায় পুলিশ পিকেট চালু বসানো হবে। দুই শিফটে পুলিশকর্মীরা ডিউটি করবেন সেখানে। প্রতি পিকেটে একজন অফিসারের নেতৃত্বে তিনজন পুলিশকর্মী থাকবেন।

পাশাপাশি, শহরের ২৮টি জায়গায় তৈরি হবে নাকা পয়েন্ট। সেখানেও তিনজন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। এ ছাড়া, কলকাতা , হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করছে লালবাজার। বাসন্তী হাইওয়ে, ডায়মন্ড হারবার রোড, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢালাই ব্রিজে বাড়তি নজরদারি থাকবে। কারণ, এই পথগুলি দিয়েও নিষিদ্ধ বাজি ঢুকে থাকে।

পুলিশকর্মীরা যাতে নিষিদ্ধ বাজি চিনতে পারেন, সে জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্তাদের। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘যে সব রাস্তা দিয়ে শহরে বাজি ঢোকে, সেখানে চেকিং বাড়ানোর পাশাপাশি বড় মার্কেটগুলিতে নজর রাখছি।’

এ বারের কালীপুজোয় নিষিদ্ধ বাজির রমরমা ঠেকাতে লালবাজারের তরফে শহরের সব থানাকে প্রচারমূলক কর্মসূচি চালানোর কথাও বলা হয়েছে। ছোটদের মধ্যে এবং আবাসনেই বাজি ফাটানোর প্রবণতা বেশি থাকে। সে জন্য আবাসন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version