এই সময়, বেলঘরিয়া: আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভিডিয়ো পোস্ট করে চাকরি খোয়ালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে অস্থায়ী হোমগার্ড কাশীনাথ পান্ডা। চাকরি খুইয়ে কাশীনাথ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কাল, শুক্রবার এই মামলার শুনানি। সুবিচারের আশায় এখন কলকাতা হাইকোর্টের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি।কাশীনাথের বাড়ি হাওড়ার ডোমজুড়ে। গত পাঁচ বছর ধরে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে বেলঘরিয়া থানায় অস্থায়ী হোমগার্ড পদে চাকরি করছেন বছর ৩৮-এর কাশীনাথ। আরজি করের নারকীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেই গানের ভিডিয়োয় তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে হাতে খাঁড়া নিয়ে মা-বোনেদের রাস্তায় নামার আবেদন করেন তিনি।

সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই ক্ষুব্ধ হন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। কাশীনাথের অভিযোগ, এর পর নানা ভাবে বেলঘরিয়া থানার পদস্থ পুলিশ আধিকারিক ও একাধিক পুলিশকর্তার ‘হুমকি’র মুখে পড়তে হয় তাঁকে।

কাশীনাথের দাবি, গত ১ অক্টোবর তাঁর ডিউটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্ট ডিলিট না করায় একাধিকবার পুলিশকর্তাদের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘৫ অক্টোবর আমি বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে লিখিত ভাবে জানাই। ৬ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে ডিউটি দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেই কোনও কারণ না জানিয়ে আমাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্তের কথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ১৪ অক্টোবর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

এই প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতুল বিশ্বনাথন বলেন, ‘ওই হোমগার্ডের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এসেছে। সেই অনুযায়ী তাঁকে আপাতত কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version