গয়না বা আসবাব নয়। বিশাল বড় করে কোনও অনুষ্ঠানও নয়। বিয়ের আগে বাবার কাছে একটাই আবদার করেছিলেন আনফিসা হক। কী সেই দাবি? আনফিসার আবদার ছিল, তাঁর বিয়ের আগে বাবাকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে হবে। মেয়ের সেই দাবি ফেলতে পারেননি বাবা আনারুল হক। কয়েকদিনের মধ্যেই মেয়ের বিয়ে। তাই তার আগে গ্রামে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন জলপাইগুড়ির সাহেবপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে সাহেবপাড়া গ্রাম। বৃহস্পতিবার সেখানেই রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। বাড়ির সামনেই শিবির হয়েছে। এ দিনের শিবির আয়োজনে সাহায্য করেছে একাধিক সমাজসেবী সংস্থা। গোটা কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন গ্রামবাসীরাও।

গ্রীষ্মের সময় এমনিতেই রক্তদান শিবির কম হয়। রক্তের সংকট দেখা যায় বহু জায়গায়। তার জন্য়ই নানা জায়গায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয়। কিন্তু সাহেবপাড়া গ্রামে হওয়া এই রক্তদান শিবির বাকিগুলির তুলনায় একেবারে আলাদা। গ্রীষ্মের সময়ে হওয়ার রক্তের সংকট মেটানোর জন্যই আনফিসা হক এই আবদার করেছিলেন তাঁর বাবার কাছে।

এ দিন ১০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ছিল। ততটা না হলেও ভালোই সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সংগৃহীত রক্ত শিলিগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। এ দিন শিবিরে গাছের চারাও বিতরণ করা হয়। রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, পদ্মশ্রী প্রাপ্ত করিমুল হক-সহ জেলার অন্যান্য সমাজসেবীরা। আনারুল হক বলেন, ‘মেয়ের আবদার ছিল যে, রক্তদান শিবির করতে হবে। সেই মতো অনেকেই রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version