সেখান থেকে একটি বড় অংশের ব্যবসায়ীকে নিয়মিত কলকাতা ও গুয়াহাটি যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়াও রূপসীর খুব কাছে ধুবড়িতেও বহু ব্যবসায়ীর বসবাস। বাঙালিদেরও একটা বড় অংশ ধুবড়িতে থাকেন। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘রূপসী বিমানবন্দর চালু হলে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেরও বহু মানুষকে চটজলদি কলকাতা পৌঁছতে হলে বাগডোগরা পর্যন্ত ছুটতে হবে না।’
এক সময়ে ফ্লাই-বিগ নামে একটি উড়ান সংস্থা রূপসী থেকে উড়ান পরিষেবা চালু করে। কিন্তু, বছর খানেক আগে তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের অপারেশন গুটিয়ে নিয়ে এখন শুধু উত্তরপ্রদেশেই উড়ান চালাচ্ছে। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রূপসীতে ভিএফআর (ভিজ়ুয়াল ফ্লাইং রুট) ব্যবস্থায় বিমান ওঠানামা করে। যার অর্থ, পাঁচ হাজার ফুট উপর থেকে রানওয়ে পরিষ্কার দেখা গেলে তবেই বিমান নেমে আসতে পারে। বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, ‘সারা বছর আকাশও পরিষ্কার থাকে। তাই উড়ান নামাওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ারও কথা নয়। শুধু কেউ উড়ান চালাতে রাজি হচ্ছিল না বলেই বিমানবন্দর বন্ধ ছিল।’
অ্যালায়েন্সের একটি সূত্র জানিয়েছে, আপাতত মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি — সপ্তাহে এই তিনদিন রূপসী থেকে উড়ান চালানো হবে। সকালে গুয়াহাটি থেকে রূপসী যাবে উড়ান। সেখান থেকে সকাল এগারো ৫৫ মিনিট নাগাদ ছেড়ে তা কলকাতায় নামবে। ফিরতি পথে দুপুর ২টো ২০ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে আবার রূপসী উড়ে যাবে। সেখান থেকে ফিরবে গুয়াহাটি।