উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে আগে একটি কেরোসিনের বোতল ও দেশলাই বাক্স উদ্ধার করা হয়েছিল। ফরেন্সিক দল বোতল ও দেশলাই বাক্স থেকে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। সেটিকে মৃত তরুণীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ঘটনাস্থলেই আগুন লাগানোর ঘটনাটি ঘটেছিল কিনা, সে ব্যাপারেও তদন্ত করা হচ্ছে।
রহস্য দূর করতে অভিযুক্ত যুবক ও ওই ছাত্রীর ফোনের কললিস্ট, টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার রাতে তরুণীর ঠিক কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী দল। রবিবার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় এসে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের সদস্য দেবযানী মুখোপাধ্যায়। দেখা করেন তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
এ দিন শহরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। যেখানে মঙ্গলবার রাতে ১০টা ৪০ মিনিটে একাই হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে ওই তরুণীকে। ঘটনাটি তবে কি আত্মহত্যার? সেক্ষেত্রে কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। যেমন, তরুণী যদি আত্মহত্যাই করে থাকেন তবে গায়ে আগুন লাগানোর পর তাঁর চিৎকার কেউ টের পেল না? ব্রেক আপের কারণেই কি সে এই কাজ করেছে? তাতেও রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ ধৃত রাত ১০টা নাগাদ ফোনে সম্পর্কে ছেদ টানার কথা জানায়। অল্প সময়ে কেরোসিনের মতো দাহ্য পদার্থই কী করে ওই তরুণী জোগাড় করল। কারণ, কেরোসিন খুব সহজে এখন কোনও দোকানে মেলে না। এরকম আরও একাধিক প্রশ্নের উত্তর এখনও কিন্তু মেলেনি।