এই সময়, আসানসোল: তৃণমূল কাউন্সিলারকে হুমকি চিঠি পাঠানো নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হলো কুলটিতে। আসানসোল পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সেলিম আখতার আনসারিকে সেই হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্পিড পোস্টে। শনিবার সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হলে বিস্ময় তৈরি হয়েছে কুলটির পাশাপাশি আসানসোল পুর এলাকায়। কে বা কারা ওই কাউন্সিলারকে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও দলের জেলা নেতৃত্বকে হুমকি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শাসকদলের ওই কাউন্সিলার। চিঠির কথা জানিয়ে কুলটি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কুলটি থানার পুলিশ।

আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় কাউন্সিলারকে হুমকি চিঠির প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুক্রবার রাতেই আমি পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। এই ধরনের হুমকি দেওয়ার আমি নিন্দা করছি। এমন পরিবেশ আমাদের এখানে কিন্তু ছিল না। এতে শান্তিও বিঘ্নিত হচ্ছে।’

জানা গিয়েছে, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে কুলটি পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোস্টে কুলটির নিয়ামতপুরে কাউন্সিলারের বাড়িতে খয়েরি রংয়ের একটি খাম আসে। মুখবন্ধ সেই খামটি খুলতেই দেখা যায়, তাতে রয়েছে সাদা কাগজে লেখা একটি চিঠি। কাউন্সিলারের উদ্দেশে ইংরেজিতে হাতে লেখা সেই চিঠিতে ছটপুজোর পরে তাঁকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কয়েক লাইনের সেই চিঠির বিশেষ অংশে লাল দাগ দিয়ে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলার প্রথমে বিষয়টি জানান ওই এলাকার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হককে। জানানো হয় মেয়রকেও।

তবে হুমকি চিঠিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কাউন্সিলার সেলিম আখতার। তিনি বলেন, ‘আমি যে দল করি তার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ বাঘের সঙ্গে দলনেত্রীকে তুলনা করে ওই কাউন্সিলার আরও বলেন, ‘দল ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে ২০০৯ থেকে কাউন্সিলার হয়ে প্রতিদিন কাজ করে চলেছি। কোনও কিছুর ভয়ে পিছু হটার লোক আমি নই।’ উল্টে হুমকি চিঠি নিয়ে তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘আড়ালে রয়েছেন কেন, হিম্মত থাকলে সামনে আসুন।’

—শুক্রবার রাতেই আমি পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। এই ধরনের হুমকি দেওয়ার নিন্দা করছি আমি। এমন পরিবেশ কিন্তু আমাদের এখানে ছিল না। এতে শান্তিও বিঘ্নিত হচ্ছে— বিধান উপাধ্যায়, মেয়র, আসানসোল পুরসভা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version