এই সময়, আসানসোল: বাতাসের বাধা কাটাতে এরোডাইনামিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় বিমানে। এ বার সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন তৈরি করল চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানা (সিএলডব্লিউ)। ভারতীয় রেলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য শনিবার এমন দু’টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন সিএলডব্লিউ কারখানা থেকে যাত্রা শুরু করে। যার সূচনা করেন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা। জানা গিয়েছে, উচ্চমানের এই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে দেশের অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে।রুট বদলালে বা অন্য পথে গেলে সাধারণত নতুন ইঞ্জিন জুড়তে হয় ট্রেনে। সেই সময়টা বাঁচানোর জন্য অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের একেবারে সামনে এবং পিছনে দু’দিকেই থাকছে দু’টি ডব্লিউএপি-৫ লোকোমোটিভ (পুশ-পুল) ইঞ্জিন। চলতি আর্থিক বছরে (২০২৪-২৫) এমন ৫৫ জোড়া ইঞ্জিন তৈরি করছে সিএলডব্লিউ। সাধারণ ডব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিনে প্রযুক্তিগত একাধিক বদল এনে নতুন এই ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে চিত্তরঞ্জনে।

দ্রুত গতিতে চলার সময়ে যাতে বাতাস কোনওভাবেই উইন্ডস্ক্রিনে বাধা না দেয় তার জন্য কেবিনের উইন্ডস্ক্রিনে এরোডাইনামিক প্রযুক্তির বিশেষ ধরনের শিল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। একই লাইনে দু’টি ট্রেন চললে দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্যকারী সেন্সর ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘কবচ’-ও থাকছে এই ইঞ্জিনে। চালকদের কেবিনও আধুনিক ভাবে সাজানো হয়েছে। চালক ও সহকারী চালকের জন্য রিয়েল টাইম ইনফর্মেশন সিস্টেম থাকবে।

তার সঙ্গে চালকের অডিয়ো এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যাতে ট্রেনের গতিবিধি জানা যায় তার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক জিপিএস সিস্টেম। ব্রেকের ব্যবস্থা আরও আধুনিক করা হয়েছে। চিত্তরঞ্জনের জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মণ্ডলা জানিয়েছেন, এক জোড়া ডব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিনের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি এলএইচবি রেক লাগিয়ে অমৃত ভারত এক্সপ্রেস চালানো হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version