এই সময়: দানায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৪ ঘণ্টা লোকাল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। বন্ধ হাওড়া ডিভিশনের লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরপাড়া থেকে বলাগড় পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় হুগলি নদী বরাবর ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাপিয়ে উঠে এল প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই লোকাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ব রেল। কিন্তু শহর ও শহরতলির নিত্যযাত্রীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তা এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। উইক এন্ড নয়, সপ্তাহের কোনও কাজের দিনে বেলা ১২টায় হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশনের এমন জনশূন্য ধু ধু চেহারা শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা আলোচনাসাপেক্ষ।

শুধু হাওড়া বা শিয়ালদহ নয়। বৃহস্পতির সকাল থেকে একই রকম জনশূন্য মহানগরের ‘লাইফলাইন’ মেট্রোরও। সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে মেট্রোর কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত অংশে গড় যাত্রী-সংখ্যা থাকে ৭ লক্ষের কাছাকাছি। কিন্তু বৃহস্পতির সকাল থেকেই মেট্রোর কামরায় যাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা সেই দৃশ্য উধাও। সিট দখলেরও কোনও প্রতিযোগিতা দেখা যায়নি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক একটি কামরায় যাত্রী-সংখ্যা ৮-১০ এর বেশিও হয়নি।

বৃহস্পতির সকালে যাঁরা বাসে উঠেছিলেন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই চালক ও কন্ডাক্টরের কাছে জেনে নিচ্ছিলেন যে, কত রাত পর্যন্ত বাস চলতে পারে। যদিও এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি বাসকর্মীরা। আর বাস্তবে সন্ধে হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজপথ থেকে ক্রমশ কমতে থাকে বেসরকারি বাস ও মিনিবাস। যাত্রীদের সংখ্যাও নিম্নমুখী হতে থাকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version