এই সময়, কৃষ্ণনগর: খুন, নাকি আত্মহত্যা— কৃষ্ণনগরের তরুণীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ঠিক কী হয়েছিল এবং অকুস্থল ঠিক কোন জায়গা, অভিযুক্ত রাহুল বসুকে এক সপ্তাহ জেরা করেও, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারল না পুলিশ। তাই অভিযুক্তকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিলেন জেলা পুলিশের তদন্তকারীরা। সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ফের ধৃতকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পেশ করা হয়।সেখানে ধৃতকে আরও সাত দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হয় পুলিশের তরফে। আদালত পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এ দিন কৃষ্ণনগরের পুলিশ জেলার অতিরিক্ত (সুপার) সদর মীত কুমার বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে কয়েকদিনে ফিজিক্স এক্সপার্ট, কেমিক্যাল এক্সপার্ট, ফিঙ্গার প্রিন্ট এক্সপার্ট নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবে সেগুলো জমা পড়েছে। সেই সব রিপোর্ট হাতে আসলে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।’

এরমধ্যে আরও একটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কৃষ্ণনগরের এই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার মাঝেই সোনারপুরের অন্য এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন রাহুল। এ দিন তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল প্রথমে দাবি করেন, ‘বিয়ে করিনি’।

কৃষ্ণনগরকাণ্ডে নয়া মোড়? পোড়া বোতল উদ্ধারের দাবি ঘিরে শোরগোল
পরে আবার সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করা হলে রাহুল অবশ্য স্বীকার করে নেয়, সোনারপুরের ওই তরুণীকে সে বিয়ে করেছিল। তা হলে কি বিয়ের পরেও কৃষ্ণনগরের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলায় টানাপড়েনের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল? রাহুল অবশ্য এর কোনও জবাব দেয়নি। তবে সে দাবি করে সোনারপুরের তরুণীর সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয়নি। যদিও এই বিষয়টি নিয়েও ধৃত রাহুলকে আরও জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। রাহুলের মায়ের অবশ্য দাবি, তাঁদের ছেলে বিবাহিত নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version