এই সময়: রাজ্যের ছ’টি বিধানসভার উপনির্বাচনেই জয় ছিনিয়ে আনতে অধিকাংশ কেন্দ্রে দলের সাংসদ-মন্ত্রীদের প্রচারের ময়দানে নামাচ্ছে তৃণমূল। জয়ের লক্ষ্যপূরণে প্রার্থী করা হয়েছে দীর্ঘদিন সংগঠন করা নেতাদেরই।যেমন, নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার ও নির্বাচনী সংগঠন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের। তালড্যাংরায় ভোট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। মেদিনীপুর বিধানসভায় প্রচারে সাংসদ জুন মালিয়া। বিজেপি-র হাতে থাকা মাদারিহাট এ বার ছিনিয়ে নিতে চায় তৃণমূল। সেখানে জোড়াফুল ফোটাতে মাঠে নেমেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। হাড়োয়া কেন্দ্রে দলের দুর্গ অটুট রাখার দায়িত্বে সুজিত বসু, রথীন ঘোষ এবং নারায়ণ গোস্বামী। সিতাইয়ে ভোট ম্যানেজমেন্টে সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া।

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণত উপনির্বাচনে প্রচার করেন না। চোখে অস্ত্রোপচারের কারণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেষ পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে দলকে ৬-০য় জেতানোর চ্যালেঞ্জ পার্থ, সুজিত, অরূপ, জুন, জগদীশ, প্রকাশদের হাতে।

সনৎ দে নৈহাটিতে টিকিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেন পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, ‘সমস্ত কর্মিসভা হয়ে গিয়েছে। কাল, শনিবার থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত রোজ সকালে চারটি ওয়ার্ডে প্রচার করব। সন্ধ্যায় প্রচার গ্রামীণ এলাকায়।’ পাশাপাশি হাড়োয়া কেন্দ্রেও যাবেন তিনি।

আবার, বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে মেদিনীপুরের প্রার্থী সুজয় হাজরার হয়ে প্রচারে নেমেছেন সাংসদ জুন। তাঁর কথায়, ‘সুজয়কে বলেছি, নির্বাচনী প্রচারের সূচি আমাকে দিতে। সেই সূচি অনুযায়ী মিছিল, জনসভা, জনসংযোগ করব।’

আলিপুরদুয়ারে দলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বুধবার মাদারিহাটের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর মনোনয়ন দাখিল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে জয়প্রকাশের নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রকাশ ও গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। প্রকাশের কথায়, ‘কালীপুজোর সময়ে ক’দিন বাদ দিয়ে প্রার্থীর হয়ে টানা প্রচার করব। চা-বাগানেও বাড়ি বাড়ি প্রচার হবে। চলবে মিছিল, সভা।’

তালড্যাংরার প্রার্থী ফাল্গুনি সিংহবাবুকে বড় মার্জিনে জেতাতে ময়দানে নেমেছেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। বুধবার তাঁর এমপি স্টিকার দেওয়া গাড়িতেই মনোনয়ন দাখিল করেন প্রার্থী। অরূপও ছিলেন সঙ্গে। সে দিন ১০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন বলে অরূপ জানান। সাংসদের কথায়, ‘প্রার্থীকে নিয়ে প্রথমে একটি কর্মিসভা করব। এ ছাড়া গ্রামে বাড়ি বাড়ি প্রচার হবে। হবে রোড-শো, সভাও।’

নির্বাচনী প্রচার চালাতে কোন নেতা কোন কেন্দ্রে যাবেন, কেন্দ্রীয় ভাবে সেই তালিকা শিগগিরই চূড়ান্ত করবেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তা অনুযায়ীই নেতানেত্রীরা প্রচারে যাবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version