শুক্রবার ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জলে পড়ে গিয়েছিলেন যুবক। মৃত যুবকের নাম সৌরভপ্রসাদ গুপ্ত (২৫)। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘ভবানীপুরের একটা দুর্ঘটনা ঘটছে। একটি বাড়ি থেকে বিদ্যুতের তার ঝুলছিল। একটা রেলিংয়ের হাত দিতে গিয়ে উনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।’ ওই এলাকার পুরসভার বিদ্যুতের খুঁটি আগে থেকেই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
দুর্ঘটনার সময় ভবানীপুরের জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে জল দাঁড়িয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে মেয়রের বক্তব্য, ‘পুর সংস্থার হাতে জাদু কাঠি নেই যে ভ্যানিশ বললেই সব জল নেমে যাবে। কিছু জায়গায় এখনও জল জমে আছে। ১২৭, ১২৮, ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে জল আছে। জল নামতে কিছুটা সময় দিতে হয়। আমার অত্যন্ত খারাপ লাগছে যে এক যুবক মারা গিয়েছেন।’ তিনি জানান, গতকাল সব স্ট্রিট লাইট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। যদি রাস্তার আলো জ্বলত তাহলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
অন্যদিকে, হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়ায় জমা জলের নীচে থাকা গর্তে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছিলেন এক যুবক। পরে উদ্ধার করা হলেও তাঁর মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, ‘হাওড়ার ঘটনাও দুঃখজনক। আমরা এখনও রিপোর্ট পায়নি। আমরা রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট আসলে মৃত্যু কারণ বলা যাবে। অনেক জায়গায় ভ্যাট আছে। তার জন্যেই নিকাশি ব্যবস্থায় অনেক সময় প্রভাব পড়ছে। বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তার পিচের শত্রু। আগামীকাল থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে।’