নিত্যদিনের মতো আদালতে এসে পৌঁছেছিলেন বিচারক। মামলাকারী, আইনজীবীরাও নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের মূল ফটকে তালা ঝোলানো। ভিতরে একটি বাইক দেখা যাচ্ছিল, যার সামনে লেখা পুলিশ। ওই বাইক কার? কেই বা তালা লাগাল? এই সমস্ত প্রশ্নে শুক্রবার তোলপাড় হলো জলপাইগুড়ি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে খোলা হয় ওই তালা। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই মোটরবাইকের মালিক একজন ন্যাশনাল ভলেন্টিয়ার ফোর্স (এনভিএফ) কর্মী। তিনিই মোটর বাইকের সুরক্ষায় তালা লাগিয়েছিলেন এবং শুক্রবার তা খুলতে ভুলে যান বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই তাঁকে ক্লোজ় করা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়েই জলপাইগুড়ি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে পৌঁছেছিলেন বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ। কিন্তু মূল দরজা বন্ধ থাকায় আদালতের কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কেন আদালতের মূল ফটকে তালা? তা নিয়ে কার্যত বিষ্মিত হন বিচারক স্বয়ং। জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপতকে তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে জানান।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে আদালতের ভেতর থেকে মোটর বাইকটি সরিয়ে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশ। শুরু হয় বাইকটির মালিকের খোঁজ। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, ওই বাইকের মালিক এনভিএফ কর্মী সদানন্দ দাস। রাতে বন বিভাগের অফিসের পাহারার দায়িত্বে থাকেন তিনি। প্রায় প্রতিদিন রাতে তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ভেতরে বাইক রাখেন। বাইকটির সুরক্ষার জন্য তিনি তালা দিয়ে যান আদালতের গেটে। নির্দিষ্ট সময়ে তা খুলেও দেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে আদালতের ভেতর থেকে মোটর বাইকটি সরিয়ে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশ। শুরু হয় বাইকটির মালিকের খোঁজ। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, ওই বাইকের মালিক এনভিএফ কর্মী সদানন্দ দাস। রাতে বন বিভাগের অফিসের পাহারার দায়িত্বে থাকেন তিনি। প্রায় প্রতিদিন রাতে তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ভেতরে বাইক রাখেন। বাইকটির সুরক্ষার জন্য তিনি তালা দিয়ে যান আদালতের গেটে। নির্দিষ্ট সময়ে তা খুলেও দেন।
কিন্তু শুক্রবার তিনি কোনও কারণবশত তা ভুলে যাওয়াতেই ঘটে বিপত্তি। যদিও এ নিয়ে সদানন্দ দাস কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
(তথ্য সহায়তা: দিব্যেন্দু সিনহা)