বোতল ভেঙে হাতে আঘাত লাগে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আহত হওয়ার পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে প্রথম কে ফোন করেছিলেন? হুগলিতে এক দলীয় সভা থেকে সেই তথ্য সামনে আনলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।দিল্লিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন বোতল ভেঙে আহত হন শ্রীরামপুরে তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। কল্যাণ জানান, তাঁর চোট লাগার খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ফোন আসে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

শনিবার হুগলির রিষড়ায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কল্যাণ। সেখানে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘পাঁচখানা সেলাই পড়েছে আমার হাতে। রক্তে রক্তে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। প্রথম ফোনটা আমি যাঁর কাছ থেকে পাই, তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেমন আছো তুমি!’ তাঁর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’

এরপরেই কল্যাণের সংযোজন, ‘নেতা এখান থেকেই তৈরি হয়। হৃদয়ের মধ্যে থাকবে। আমি হুগলি সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইনকে বলেছি আর কিছুদিন যাক, অভিষেক ফিরেছে। তাঁর শরীরটা একটু ভালো হোক। তারপর আমরা সবাই মিলে সেনাপতির সামনে একটা বড় মিটিং করব।’

ওয়াকফ বিল নিয়ে বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা, কাচ ভেঙে আহত কল্যাণ
প্রসঙ্গত, সামনেই রাজ্যের ছয়টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তার আগে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনির আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের টাকা তোলার বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘কারও চোখরাঙানি সহ্য করবেন না। সিপিএম বলে কিছু নেই। কী এমন আন্দোলন তার জন্য পাঁচ কোটি টাকা তুলতে হল। আমরাও অনেক আন্দোলন করেছি। আন্দোলন করেছি বলেই আমরা ৩৪ বছরের সিপিএমকে ধূলিসাৎ করে দিতে পেরেছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version